বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়া থানার কুলিয়া গ্রামের পিন্টু মণ্ডল সিআরপিএফ জওয়ান শ্রীনগরে গ্রুপ মাস্টার পদে কর্মরত ছিলেন। ৩২ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চাকরি করছেন। সোমবার সকালে তাঁর স্ত্রী রেবা মণ্ডলের কাছে স্বামীর মৃত্যুর খবর আসে। বলা হয়, কোভিডে মৃত্যু হয়েছে পিন্টুর। কিন্তু রেবার দাবি, রবিবার দিন রাতেও তাঁর সঙ্গে পিন্টু ভিডিও কলে কথা হয়েছে। তখন অসুস্থতার কোনও কথাই জানাননি তিনি। ঠিক পরের দিন সোমবার সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছয়।
পরিবারের অভিযোগ, তাঁর মাথায় পিছন থেকে ৫টি গুলি করে খুন করা হয়েছে। তাঁর সহকর্মীরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে পরিবারের অভিযোগ। এর বিচার বিভাগীয় সঠিক তদন্ত চায় তারা।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিয়ে অফিসে ঝামেলার কথা জানিয়েছিলেন পিন্টু।পরিকল্পিতভাবে সহকর্মীরা খুন করে করোনা বলে দেহ দাহ করে দিতে চাইছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
মৃত সিআরপিএফ জওয়ানের স্ত্রী রেবা জানিয়েছেন, পিন্টুর সহকর্মী সুরজিৎ সিং, জয় চন্দন, সলমন, মুখরাম পরিকল্পনা করে গুলি করে খুন করেছেন তাঁকে। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়েছে পরিবার। দেহ পরিবারকে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে সেনা আধিকারিকদের কাছে।
কিন্তু দেহ দিতে নারাজ সেনা আধিকারিকরা। কারণ, ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃতের দেহ দেওয়ার নিয়ম নেই। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।