একগুচ্ছ সংশোধন নিয়ে ৩৪ বছর পর বদলে গেল জাতীয় শিক্ষানীতি

৩৪ বছর পর বদল হল জাতীয় শিক্ষানীতি। শিক্ষানীতির খসড়া প্রস্তুত করেছেন প্রাক্তন ইসরো প্রধানকে কস্তুরীরঙ্গনের নেতৃত্বাধীন বিশেষজ্ঞ কমিটি। বুধবার কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর এবং কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক নতুন শিক্ষানীতি সংক্রান্ত একগুচ্ছ ঘোষণা করেন। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছে-

১. ইউজিসি, এআইসিটিই- র মতো উচ্চশিক্ষার নিয়ামক সংস্থা তুলে একটিমাত্র নিয়ামক সংস্থা হবে।

২. স্নাতক স্তরের কোর্সের মেয়াদ হবে ৪ বছর।

৩. স্নাতকোত্তর স্তরের কোর্সের মেয়াদ হবে ১ অথবা ২ বছর।

৪. পাঁচ বছর ইন্টিগ্রেটেড পদ্ধতিতেও স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর করা যাবে।

৫. নতুন শিক্ষানীতিতে তুলে দেওয়া হয়েছে এম ফিল কোর্স।

৬. কলেজে স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর স্তরে প্রবেশিকা পরীক্ষার যাবতীয় দায়িত্ব ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির হাতে।

৭. কলেজগুলিকে প্রশাসনিক সহ অর্থনৈতিক স্বশাসন দেওয়া হচ্ছে।

৮. একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীতে বিজ্ঞান, কলা বিভাগের তফাৎ থাকবে না।

৯. কেউ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লেও তার সঙ্গে বাংলা, সঙ্গীতের মতো বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ থাকবে।

১০. নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ৮ টি সেমিস্টারের কথা বলা হয়েছে।

১১. পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত আঞ্চলিক ভাষায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

১২. ১০+ ২ ফর্মুলার বদলে ৫+৩+৩+৪ ফর্মুলা আনার কথা বলা হয়েছে। ৩ থেকে ৮ বছর বয়সের মধ্যে শেষ হবে প্রাক প্রাথমিকের তিন বছর এবং প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর পাঠ। ৮ থেকে ১১ বছরের পড়ুয়াদের জন্য এর পরে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত হবে প্রিপেটারি স্টেজ। এরপরে ১১ থেকে ১৪ বছরের পড়ুয়াদের জন্য ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত তিন বছরের পাঠ। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর সেকেন্ডারি স্টেজের পাঠ চার বছরের।

১৩. স্কুল শিক্ষায় ত্রি ভাষা নীতি চালু করা হবে। যেখানে আঞ্চলিক, ইংরেজি ভাষার সঙ্গে সংস্কৃতকেও রাখার কথা বলা হয়েছে।

Previous articleমহামারিকালে মডেল অ্যাডামাস, পথ দেখাচ্ছেন শমিত রায়
Next articleহাতে কাজ নেই, গ্রামের বাড়িতে ফিরছেন কুমোরটুলির কারিগররা!