বুধবার ছিল চলতি সপ্তাহের একমাত্র এবং চলতি মাসের শেষ লকডাউন। করোনা মোকাবিলায় রোটেশন পদ্ধতিতে সাপ্তাহিক যে লকডাউন শুরু হয়েছে এদিন তা মোটের উপর সফল। সার্বিক লকডাউনের তৃতীয় দিনেও কার্যত গৃহবন্দি শহরবাসী।

পূর্ণাঙ্গ লকডাউন সফল করতে সকাল থেকেই কলকাতা শহর জুড়ে ছিল কড়া পুলিশি নজরদারি। বেহালা থেকে বাইপাস কিংবা শ্যামবাজার থেকে শিয়ালদহ, জরুরি পরিষেবা বা কাজ ছাড়া বাইরে বেরোলে ছাড় নেই। দিনভর চলেছে ব্যাপক ধরপাকড়। শহরজুড়ে সর্বত্রই ছিল নাকা চেকিং। পুলিশি টহলদারিতে। আকাশে উড়ছে ড্রোন। ডিসি পদ মর্যাদার আধিকারিকরা পর্যন্ত রাস্তায় নেমে নজরদারি চালিয়েছেন।

বড়বাজার, পোস্তা, শ্যামবাজার, ধর্মতলা, পার্ক স্ট্রিট, এক্সাইড, মল্লিক বাজার, ভবানীপুর, রাসবিহারী, যদুবাবু বাজার, গড়িয়াহাট, টালিগঞ্জ, রুবি, পার্ক সার্কাস, খিদিরপুর, গড়িয়া-সহ সমস্ত এলাকার এ দিন রাস্তাঘাট ছিল শুনশান। প্রশাসন এতটাই কড়া ছিল যে, পার্ক সার্কাসে লকডাউনের সময় পুলিশের স্টিকার লাগানো বেশ কয়েকটি গাড়িও জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ে।

অন্যদিকে, আগের দু’দিনের মতো না হলেও বুধবারও লকডাউনের বিধি অমান্য করার জন্য কয়েকশো মানুষকে আটক করা হয়েছে। মাস্ক না পরার জন্যও অনেকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাস্তায় থুতু ফেলার জন্যও গ্রেফতার করা হয়েছে কয়েকজনকে।
