অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবা কৃষ্ণকুমার সিং। মৃত্যুর দেড় মাস পর মুখ খুলেছে অভিনেতার পরিবার। সোমবার পাটনার রাজীব নগর থানায় রিয়ার বিরুদ্ধে ৭ পাতার এক অভিযোগনামা দিয়ে এফআইআর দায়ের করেছেন প্রয়াত অভিনেতার বাবা। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১, ৩৪২, ৩৮০, ৪০৬, ৫০৬ এবং ৩০৬ ধারায় দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ।

রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন সুশান্তের বাবা। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, আগের ফ্ল্যাট থেকে বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্টে জোর করে সুশান্তকে নিয়ে গিয়েছিলেন রিয়া। সেই কথা সুশান্তের পরিবারকে জানাতে দেননি তিনি। সুশান্তের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে শপিং আর বিদেশ ভ্রমণ করেন রিয়া। শুধু তাই নয় কার্যত জোর করে খুলিয়েছিলেন তিনটি কোম্পানি। আর সেই তিনটি কোম্পানিতে রিয়া কোনও মূলধন ছিল না। পুরো টাকাই ঢেলেছিলেন সুশান্ত। অথচ তিন কোম্পানির অংশীদার হয় রিয়া এবং তাঁর ভাই সৌভিক চক্রবর্তী। সুশান্তের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সম্প্রতি একটি এমন অ্যাকাউন্টে ১৫ কোটি টাকা ট্রান্সফার হয়েছে যার সঙ্গে সুশান্তের কোনও লেনদেনই নেই। সুশান্তের ব্যাংক ডিটেইলস সবটাই জানতেন রিয়া। রিয়ার বিরুদ্ধে টাকা তছরুপের অভিযোগ এনেছেন সুশান্তর বাবা।

সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন সুশান্তের বাবা। মার্চ মাসে সুশান্তের এক দেহরক্ষীকে সরিয়ে দিয়েছিলেন রিয়া। চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হতো সুশান্তকে। এমনকী সুশান্তের মানসিক চিকিৎসার কথা পরিবারকে জানতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। আত্মীয়-স্বজন, ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের থেকেও সুশান্তের সরিয়ে রাখতেন রিয়া। এমনই অভিযোগ অভিনেতার বাবার। কে কে সিং জানিয়েছেন মৃত্যুর একমাস আগে সুশান্তকে ফোন করে বলেছিলেন “রিয়ার পরিবার আমাকে পাগলা গারদে পাঠিয়ে দেবে বাবা”।

প্রসঙ্গত, সুশান্তর আত্মহত্যা দিন কয়েক আগে বান্দ্রার ওই ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে যান রিয়া। অভিনেতার বাবার অভিযোগ, তখন বহুমূল্য গয়না, টাকাপয়সা, ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড থেকে শুরু করে চিকিৎসার ফাইলগুলো অবধি নিজের সঙ্গে নিয়ে যান রিয়া। যাতে সুশান্তকে ব্ল্যাকমেইল করতে পারেন ওই ফাইলগুলো দিয়ে।
