দাদরি কাণ্ডের ছায়া এবার হরিয়ানার গুরুগ্রামে। গরুর মাংস পাচার করার অভিযোগে নৃশংসভাবে গণপিটুনির শিকার হতে হল এক যুবককে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো পুলিশের সামনেই ঘটল এই ঘটনা। ঘটনার পিছনে গোরক্ষা বাহিনী, যারা উত্তরপ্রদেশ সহ কয়েকটি রাজ্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিজেপির সৌজন্যে। হাতুড়ির বাড়িতে রক্তাক্ত করা হলো যুবকের মাথা, মুখ, হাত, পা পুলিশ অবশ্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে, মামলা হয়েছে। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে যুবক।

শুক্রবার রাত ন’টা নাগাদ গুরুগ্রামের আইটি হাবের কাছে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। একটি পিক আপ ভ্যানকে তাড়া করে গোরক্ষাবাহিনী। প্রায় ৮ কিলোমিটার তাড়া করে পিক আপ ভ্যানটিকে দাঁড় করায় তারা। কোন কথা শুনতে না চেয়ে চালক লোকমানকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর শুরু করে। অভিযোগ গাড়িতে করে নাকি গো-মাংস পাচার হচ্ছিল। পুলিশ সেখানে পৌঁছয়। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো যুবক বারবার পুলিশের সাহায্য চাইলেও তাদের সামনেই যুবককে মেরে ক্ষতবিক্ষত করে গোরক্ষা বাহিনীর গুণ্ডারা। পরে পুলিশ যুবককে হাসপাতালে পাঠায়। ওই গাড়িতে থাকা মাংস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। গাড়ির চালক লোকমান জানিয়েছে গরুর মাংস নয়, মহিষের মাংস নিয়ে যাচ্ছিল। ৫০ বছর ধরে সে এই ব্যবসা করছে। দিল্লির সরকার হাত গুটিয়ে বসে থাকায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, ধর্মের নামে বজ্জাতি চলছে। বিজেপির মদতে আইন-আদালত কোন কিছুই মানছে না এই সরকার আর তাদের গুন্ডাবাহিনী। দাদরির ঘটনার পরেও যে দেশে এতটুকু কোনও পরিবর্তন হয়নি, তা ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে গেল গুরুগ্রামের ঘটনা।
