ইলিশ-চিংড়িতে চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের অভিনব শুভেচ্ছা বার্তা মোহনবাগান সমর্থকদের

ফুটবলের ময়দানে তাদের লড়াই বিশ্বজনীন। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচ মানেই বাঙালির স্বপ্নের সেপারেশন। বাঙাল-ঘটি সেন্টিমেন্টের লড়াই। লড়াই ইলিশ- চিংড়ির। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচ মানে কানায় কানায় যুবভারতী। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচ মানেই বাংলা-ভারতের গণ্ডি ছাড়িয়েই বিশ্বের বুকে তা সমাদৃত। বল দখলে লাল-হলুদ বনাম সবুজ-মেরুন মানেই “মাদার অফ অল ব্যাটল”।

তবে মাঠে যতই প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকুক, ইস্টবেঙ্গল আর মোহনবাগান একে অপরের পরিপূরক। ময়দানের শতাব্দীপ্রাচীন এই দুই ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের জন্যই তো কলকাতাকে বলা হয় ভারতীয় ফুটবলের মক্কা। বাঙালির ফুটবল প্রেম আর উন্মাদনা বিশ্বের তাবড় দেশগুলির সমর্থকদেরও বিস্ময় জাগায়।

শতবর্ষের ইস্টবেঙ্গলকে তাই শুভেচ্ছা জানাতে ভুললেন না মোহনবাগান সমর্থকরা। সবুজ-মেরুন সমর্থকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কার্ড বানিয়ে শুভেচ্ছা জানায় ইস্টবেঙ্গলকে। যা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।

সেই কার্ডে একটি ইলিশ মাছের ছবি লম্বা রেখে পাশে দুটি চিংড়ি। অর্থাৎ, ইলিশ-চিংড়িতে ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষের প্রতীক তুলে ধরেছেন বাগান সমর্থকরা। নীচে লেখা, “ঘটি-বাঙাল, ইস্ট-মোহন কিংবা চিংড়ি-ইলিশ, বাঙালির রেষারেষি কখনো হবে না ফিনিশ।” শতবর্ষের লড়াই আজ আর নিছক লড়াই নয়। তা বাঙালির সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। মোহনবাগান ক্লাবের পক্ষ থেকেও মিষ্টি ও পুষ্পস্তবক ন ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদারের হাতে তুলে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

এদিকে, মোহনবাগান এবার আইএসএল খেলবে। কিন্তু দেশের সেরা এই টুর্নামেন্টে ইস্টবেঙ্গল অনিশ্চিত।আইএসএলে তাদের ভাগ্য এখনও ঝুলে রয়েছে। তবে ফুটবলের রোমাঞ্চ, উত্তেজনা, রুদ্ধশ্বাস লড়াই, জৌলুস দেখতে মোহনবাগান সমর্থকরা যেন এই শুভেচ্ছাবার্তার মাধ্যমে বুঝিয়ে দিলেন, মেগা টুর্নামেন্টে তাঁরা ইস্টবেঙ্গলকেও চাইছেন।

Previous articleকাশ্মীরে ফের পাক গোলাবর্ষণ, শহিদ এক ভারতীয় জওয়ান
Next articleঅতিমারীর মধ্যে এবার বার্ড ফ্লু! সরানো হচ্ছে মুরগি