বহু প্রতীক্ষার অবসানের পর অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য হয়ে গেল ভূমিপুজো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরেই পুজো-অর্চনার মধ্যদিয়ে নির্মাণকার্যের সূচনা হলো। গোটা অযোধ্যা জুড়ে শুধুই উৎসবের পরিবেশ। ভূমিপুজো অনুষ্ঠানের শেষে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, বহুচর্চিত এই রাম মন্দির নির্মাণের স্বপ্ন পূরণ হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কৃতিত্ব দাবি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে যোগী মহাপুরুষের আসনে বসিয়েছেন।

এদিন যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ আমাদের সকলের কাছে মহাপুরুষ। তাঁর জন্যই আজ রাম মন্দির নির্মাণ সফল হয়েছে। তাঁর দূরদৃষ্টির ফলে শান্তিপূর্ণ ভাবে সমস্যা সমাধান হয়েছে”।

এখানেই শেষ নয়। যোগী আদিত্যনাথ আরও বলেন, “রাম মন্দির নির্মাণের জন্য দীর্ঘ ৫০০ বছরের কঠিন সাধনা করতে হয়েছে। কিন্তু ভারতের গণতান্ত্রিক, ন্যায় ও প্রশাসনিক ক্ষমতার বলে সাংবিধানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কীভাবে একটি জটিল সমস্যার সমাধান হয়, তা গোটা বিশ্ব দেখেছে। এই অপেক্ষায় আমাদের আগের প্রজন্মের অনেকেই চলে গিয়েছেন। বহু মহাপুরুষ, বহু বীরঙ্গনা আত্মবলিদান দিয়েছেন। কেবল একটাই স্বপ্ন নিয়ে তাঁরা আত্মত্যাগ করেছেন, যাতে ভারতবাসী একদিন চোখের সামনে পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীরামের মন্দির নির্মাণ দেখতে পাই এই অযোধ্যার মাটিতে। শেষপর্যন্ত ১৩৫ কোটি ভারতবাসী স্বপ্নের-গর্বের সেই বহু প্রতীক্ষিত রাম মন্দির আজ বাস্তবে রূপ নেওয়ার পথে অগ্রসর হয়েছে।”

এরপর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, “রাম মন্দির তৈরির মাধ্যমে অযোধ্যা এখন থেকে শুধুমাত্র বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠবে তা নয়, একই সঙ্গে নদীর প্রান্তে অবস্থিত এই শহর অনেক বেশি সমৃদ্ধ ও প্রভাবশালী হবে। আজকের এই মহান দিনটি ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। সেখানে লেখা থাকবে, এই দিনেই রামলালা নিজের ঘরে থাকার স্বাদ পেয়েছিলেন।”

সবশেষে যোগী জানান, রাম মন্দিরের নির্মাণের জন্য যাঁরা সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন তাঁদের সকলকে মহামারী আবহের মধ্যে এদিনের এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। তবে পরবর্তী কালে অন্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তাঁদের প্রত্যেককেই সম্মান প্রদর্শন করা হবে।