রামের পথ ধরে কর্নাটকে এবার ১২০০ কোটির আকাশছোঁয়া হনুমান মূর্তি

রামের পথ ধরে কর্নাটকে এবার ১২০০ কোটি টাকার আকাশছোঁয়া হনুমান মূর্তি৷ কর্নাটকের হাম্পিতে তৈরি হয়েছে ‘হনুমান জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’। ওই ট্রাস্ট-ই হাম্পিতে স্থাপন করতে চলেছে ২১৫ মিটারের হনুমান মূর্তি।

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আগেই ঘোষণা করেছেন বরহাটা গ্রামে হবে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় রাম মূর্তি। এই মূর্তির উচ্চতা হবে ২২১ মিটার৷ সেই ঘোষণায় উৎসাহিত হয়েই কর্নাটকে গঠন করা হয়েছে ‘হনুমান জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’। ওই ট্রাস্ট জানিয়েছে, ২১৫ মিটারের হনুমান মূর্তি বসতে চলেছে, খরচ হবে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা।

অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমিপুজো শেষ৷ এবার শুরু হবে মন্দির নির্মাণের কাজ। ঠিক তখনই জানা গিয়েছে, কর্নাটকের হাম্পিতে তৈরি হয়েছে হনুমান জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। আর ট্রাস্ট ঘোষণা করেছে, রামের মূর্তি হবে অযোধ্যায়, হাম্পিতে হবে হনুমানের মূর্তি। তবে, ভক্তদের স্বস্তি দিয়ে জানানো হয়েছে রামের মূর্তির চেয়ে ৬ মিটার কম হবে হনুমান মূর্তির উচ্চতা। কারণ ভক্তের মূর্তি ভগবানের থেকে উঁচু হতে পারে না৷

কেমন হবে সেই হনুমান মূর্তি? ট্রাস্টের বলেছে, হনুমান মূর্তি হবে ২১৫ মিটার উচ্চ৷ মূর্তিটি তৈরি হতে সময় লাগবে আনুমানিক ৬ বছর। আর খরচ? মূর্তি তৈরি করতে খরচ পড়বে আপাতত ১২০০ কোটি টাকা! হনুমান জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধু সরস্বতী স্বামী বলেছেন, “ভগবান রামচন্দ্রের শাশ্বত ভক্ত হনুমানের মূর্তির উচ্চতা পরিকল্পিতভাবেই ৬ মিটার কম করা হয়েছে।
পুরাণ বলছে, বানর-রাজ সুগ্রীবের রাজত্ব ছিল হাম্পির কাছে কিষ্কিন্ধ্যায়। এখনও অঞ্জনাদ্রি পাহাড়ে আছে রয়েছে হনুমানের মূর্তি। পাহাড়চূড়ায় উঠতে ভক্তদের ৫৫০টি সিঁড়ি চড়তে হয়। তাই অনেকেই দর্শন করতে যেতে পারেন না৷ এবার সুবিধার কথা ভেবেই স্থান নির্বাচন করা হয়েছে৷ সকলেই যাতে পৌঁছে যেতে পারেন৷

জানা গিয়েছে, কর্নাটক সরকারও এই হনুমান মূর্তি তৈরির অনেকটা খরচ বহন করবে৷ বাকি টাকা অনুদান হিসেবে সংগ্রহ করবে ট্রাস্ট। এই ট্রাস্টই মূর্তির যাবতীয় দায়িত্বে থাকবে। অর্থ তুলতে সারা ভারতজুড়ে হনুমান রথ যাত্রা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

Previous articleদেহ সৎকারের পরে জানা গেল মৃত্যু কোভিডে, আতঙ্ক সিউড়িতে
Next articleশ্যামল চক্রবর্তী এক বহমান ধারার নাম