শিক্ষানীতির মূল সমস্যা ভাষাশিক্ষা, প্রবল চাপে থাকা কেন্দ্র মমতার সঙ্গে কথায় আগ্রহী

জাতীয় শিক্ষানীতির অন্তর্ভূক্ত ত্রিভাষা ইস্যু নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে৷ সেই বিতর্ক সামাল দিতে প্রয়োজনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলতে আগ্রহী কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক। শুধু ভাষা বিতর্কই নয়, সামগ্রিক ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০’ নিয়েও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান নিশাঙ্ক।

সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় নিশাঙ্ক জানিয়েছেন, “দেশ এবং জাতির ভবিষ্যতের স্বার্থে নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে সব রাজ্যকে। দরকারে মমতাজির সঙ্গেও কথা বলব।”
শিক্ষানীতি ঘোষণার পর থেকেই দেশজুড়ে শোরগোল বেঁধেছে। এখনও প্রস্তাব আকারে থাকা প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি ঘোষণা করা মাত্রই বাধা আসছে, ফলে বস্তুতই ব্যাকফুটে কেন্দ্র। দক্ষিণ ভারত এবং বাংলা ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে কেন্দ্রের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে। সংবাদমাধ্যমে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক বলেছেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী, শিক্ষা রাজ্যেরও বিষয়। তাই রাজ্যের সঙ্গে লাগাতার আলোচনার পরই নতুন নীতি কার্যকর হবে। তবে যেহেতু এটা জাতীয় শিক্ষানীতি। তাই এই শিক্ষানীতি মানবো না, এমন কথা কোনও রাজ্য বলতে পারে না।পাশাপাশি তিনি বলেছেন,”অবশ্যই কিছু চাপিয়ে দেওয়া হবে না। যৌথ আলোচনা, পরামর্শ মতোই নয়া শিক্ষানীতি কার্যকর হবে।” কবে থেকে এবং কীভাবে এই নয়া শিক্ষানীতি কার্যকর হবে? এর উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, ‘সবটাই হবে ধাপে ধাপে। রাজ্যকে এড়িয়ে বা অন্ধকার রেখে কিছুই করা হবে না। রাজ্যের শিক্ষাদপ্তর, শিক্ষা বোর্ড, কেন্দ্র-রাজ্য শিক্ষামন্ত্রীদের কমিটি, এনসিইআরটি, এসসিইআরটি, এনটিএর পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়েই নতুন শিক্ষানীতি কার্যকর হবে।’

Previous articleতারকাদের ফেক ফলোয়ার সংখ্যা নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভাঙল মুম্বই পুলিশ
Next articleIB-তে চাকরির নামে দেশজুড়ে প্রতারণা, তদন্তে নেমেছে কেন্দ্র