তৃণমূলের জেলা নেত্রীকে দলে নিয়ে কেন বিপাকে বিজেপি, জানুন

দলবদলের খেলায় নেমে এবার বিপাকে পড়লো রাজ্য বিজেপি। তৃণমূলের এক জেলা পরিষদ সদস্যাকে দলে টানায় দলীয় কোন্দলের মুখে পড়েছে গেরুয়া শিবির। যা বুমেরাং হয়েছে বিজেপির জন্য। তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা পরিষদের এক সদস্যা সম্প্রতি কলকাতায় বিজেপির সদর দফতরে এসে পদ্মফুলের পতাকা তুলে নেন। আর সেই খবর পৌঁছতে তাঁরই এলাকার আদি বিজেপি কর্মীরা শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

গত শুক্রবার কলকাতায় এসে রাজ্য নেতৃত্বের উপস্থিতিতে দলে যোগ দেন তৃণমূলের ওন্দার নেত্রী তথা জেলা পরিষদ সদস্যা বাণী হাজরা। দীর্ঘ বিতর্ক মিটিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত দিয়ে অযোধ্যায় মন্দিরের ভূমি পুজো হয়েছে। আর তাতেই উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে জানান বাণীদেবী।

তবে তাঁর এই যোগদানের পর জেলা বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ প্রবল বিদ্রোহ দেখাতে শুরু করেছে বলে জানা যাচ্ছে। বাণীদেবীকে দলে নেওয়ার বিরোধিতা করে ওন্দার চন্দ্রকোনা বুথে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভও দেখান। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এলাকায় কাটমানি তোলায় সিদ্ধহস্ত
ওই নেত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ বিক্ষোভও দেখিয়েছিলেন। দুর্নীতিতে ওই জেলা পরিষদ সদস্যার জুড়িমেলা ভার। আর স্থানীয় নেতা-কর্মীদের অন্ধকারে রেখে
বাণী হাজরাকেই দলে নিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব! এটা তাঁরা ভাবতেই পারছেন না।

এখানেই শেষ নয়, তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত ওই জেলা পরিষদ সদস্যার বিরুদ্ধে স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীদের আরও অভিযোগ, বাণী হাজরার জন্যই ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে এলাকা ছাড়া হয়েছিলেন তাঁরা। মার খেতে হয়েছিলো।
তৃণমূলের এই ধরনের বাতিল নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধেই কষ্ট করে জনমত সংগঠিত করেছে বিজেপি, আর এখন তাঁরাই যদি দলে চলে আসেন, তাহলে কার বিরুদ্ধে লড়াই হবে? সাধারণ মানুষের কাছেও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে বলেই দাবি স্থানীয় নেতা-কর্মীদের। ইতিমধ্যেই কর্মীদের ক্ষোভের কথা রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব।

এদিকে তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা জানান, বাণী হাজরার মত কয়েক জন নেতা-নেত্রীর চরিত্রের জন্যই জেলায় মানুষের আস্থা হারিয়েছিল তৃণমূল। তাই লোকসভা ভোটের পর থেকেই বাণীদেবীকে কোণঠাসা করে রেখেছিলো দল। এখন তিনি নিজেই বিজেপিতে যাওয়ায় তৃণমূলের সুবিধা হলো বলেই দাবি করেছেন শ্যামল সাঁতরা।

Previous articleএবার মহেশতলায় মৎস্যজীবীর জালে ধরা দিলো বিশালাকার হলুদ কচ্ছপ
Next articleস্কুল খুলতেই বাড়ল সংক্রমণ, দু’সপ্তাহে আক্রান্ত প্রায় ১ লক্ষ শিশু