কোঝিকোড়ে খাদে পড়ে দুর্ঘটনা হয়নি বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীর

কোঝিকোড়ের টেবিলটপ বিমানবন্দর থেকে গত শুক্রবার এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমান ৩৫ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়নি বলেই দাবি করলেন প্রত্যক্ষদর্শী সিআইএসএফ-এর সহকারী সাবইন্সপেক্টর অজিত সিং।
তার স্পষ্ট বক্তব্য, রানওয়েতে নেমেই এআই- আইএক্সআই৩৪৩ উড়ানটি সজোরে দেওয়ালে ধাক্কা মারে। তিনি জানিয়েছেন, রানওয়েতে নামা থেকে পুরো বিষয়টি হতে মাত্র চার সেকেন্ডেরও কম সময় লেগেছে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭.৪০ নাগাদ যখন রানওয়েতে নামার কথা তখনই সিআইএসএফ-এর সহকারী সাবইন্সপেক্টর অজিত সিং এএসআই মঙ্গল সিংয়ের সঙ্গে কথা বলছিলেন। অজিতের কথায়, ‘যেহেতু আমাদের পোস্ট থেকে কোন বিমান আকাশে উড়ছে ও আকাশ থেকে নামছে দেখা যায় তাই বলতে পারি যে উড়ানটি ধাক্কা মারার আগে কোনও আওয়াজ হয়নি।’
অজিত আরও বলেন, ‘গত পাঁচ বছর ধরে আমি উড়ান ওঠা-নামা দেখছি। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটি হড়কে খাদে পড়েনি। যদি পড়ত তাহলে বিমানটি মাঝবরাবর ভাঙত। কিন্তু তা হয়নি।’
ছয় বছরের কর্মজীবনে পাঁচ বছর কোঝিকোড় বিমানবন্দরেই কর্মরত রয়েছেন বিহারের বাসিন্দা সিআইএসএফ-এর সহকারী সাবইন্সপেক্টর অজিত সিং। গত শুক্রবার পিআইএল ডিউটিতে ছিলেন তিনি। বন্দরের পেরিমিটার দেওয়াল নজরবন্দি রাখার দায়িত্ব ছিল অজিতের।
তাঁর কথায়, ‘বি শিফটে আমার ডিউটি ছিল। অঝোরে বৃষ্টি পড়ছিল। কিন্তু কর্তব্য থেকে অব্যাহতির পরে আমি নয় কিমি দীর্ঘ পেরিমিটার এলাকা পরিদর্শনে বেরোই। তারপরই দেখি এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমানটি পেরিমিটারের গায়েই দুর্ঘটনায় পড়েছে। সব দেখে আমি দ্রুত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানাই। এর ঠিক ২-৩ মিনিটের মধ্যে স্থানীয় কয়েকজন চলে আসেন। গোটা ২০-২৫ জনে মিলেই উদ্ধার কাজ শুরু করি।
অজিতের দাবি, উড়ানটির পাখার কাছ বিপর্যস্ত হয়েছিল। তবে আলো না নেভায় অক্ষত যাত্রীরা নিজেরাই বেরনোর চেষ্টা করছিলেন। ওই উড়ানে অনেক মহিলা ও শিশুও ছিল। তবে যেকোনওমুহূর্তে উড়ানটিতে আগুন লেগে যেতে পারত। যদিও সেকথা প্রকাশ্যে সেই সময় জানাননি অজিত।

Previous articleছি: লজ্জা! বাবার ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলল তিন ছেলে
Next articleটিউশন থেকে রোজগারের সবটাই দুঃস্থদের সেবায়! ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত নগরউখড়ার তরুণের…