ভুলে গিয়েছি, ক্ষমাও করেছি, কী প্রসঙ্গে বললেন গেহলট?

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা সরকারের সংকট আপাতত মেটার পর রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট জানালেন, তিনি পুরনো কথা মনে না রেখে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। যে শচীন পাইলটের বিদ্রোহের জেরে রাজস্থানে কংগ্রেস দল ও সরকার নাস্তানাবুদ হল, সেই পাইলটকেও দলে স্বাগত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপে বিদ্রোহে ইতি টেনে জয়পুরে ফিরেছেন কংগ্রেসের তরুণ নেতা শচিন পাইলট। প্রকাশ্যে সৌহার্দ্যের বার্তা এখন তাঁর মুখেও।

পাইলটকে কিছুদিন আগেই বিজেপির দালাল, বিশ্বাসঘাতক ও অকম্মার ধাড়ি বলে চোখা চোখা আক্রমণ শানিয়েছিলেন গেহলট। বুধবার এবিষয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, যা হয়েছে ভুলে গিয়েছি, ক্ষমাও করে দিয়েছি। এটা বাস্তব যে দলের প্রতি একনিষ্ঠ বিধায়করা এতে একটু মনঃক্ষুণ্ণ হবেন। গত একমাস ধরে তাঁদের ওপর দিয়ে যে ঝড় বয়েছে, যেভাবে হোটেলবন্দী থাকতে হয়েছে তাতে এটা মনে হওয়া স্বাভাবিক। আমি ওদের বুঝিয়েছি দেশের কাজ করতে গেলে সহিষ্ণু হতে হয়। রাজ্যের মানুষের পাশে দাঁড়ানো এখন জরুরি। গেহলটের মন্তব্য, ভুলকে ক্ষমা করতে হবে গণতন্ত্রের কথা ভেবে। অন্তত একশো জন বিধায়ক আমাকে সমর্থন করেছেন। এই লড়াই ছিল গণতন্ত্র বাঁচানোর। আর সেই লড়াইয়ে বিজেপি পরাজিত। ওরা মধ্যপ্রদেশ আর কর্নাটকে যা করেছে, সেটা রাজস্থানে করতে পারেনি।

এদিকে বিদ্রোহে ইতি টেনে দিল্লি থেকে জয়পুরে ফিরেছেন শচিন পাইলট। জয়পুর নেমেই তিনি বলেন, কোনও দুঃখ নেই। আমি কখনই রাজ্য সরকারের অংশ ছিলাম না। তবে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলার চেষ্টা করেছি। নিজের জন্য কোনও পদের দাবি করিনি। শুধু নিশ্চিত করতে চেয়েছি, যে বিধায়করা বিরোধিতা ভুলে মূলস্রোতে ফিরছেন, তাঁদের যেন প্রতিহিংসার শিকার না হতে হয়। সোমবার দিল্লিতে প্রায় দু’ঘণ্টা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেন পাইলট। এরপর তিন সদস্যের কমিটি গড়ে তাঁর অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। পাশাপাশি এটাও তাঁকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় যে রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকবেন অশোক গেহলটই।

Previous articleশহরের রাস্তায় বাস মালিকদের বিক্ষোভ
Next articleকোভিড-যুদ্ধ নিয়ে কলম ধরলেন মমতা