হাওড়ায় গেরুয়া শিবিরে ব্যাপক ভাঙন, তৃণমূলে যোগ কয়েক হাজার বিজেপি কর্মীর

রাজ্য বিজেপিতে ভাঙন অব্যাহত। পাহাড় থেকে জঙ্গল, সাগর থেকে শহর গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান পর্ব চলছেই। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যা শাসক শিবিরকে আরও শক্তিশালী করছে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। ঠিক তার আগে দলের অন্তর্কলহ ঢাকতে কিংবা ঐক্যের বাতাবরণ প্রমাণ করতে দিলীপ-মুকুলদের কলকাতা থেকে দিল্লি, একাধিকবার একাধিক অনুষ্ঠান করে সাংবাদিকদের সামনে বলতে হচ্ছে, “ছিলাম-আছি-থাকবো” কিংবা এসব “তৃণমূলের কুৎসা”, ঠিক সেই সময়ই রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তেই ঘাসফুল শিবির মমতা ম্যাজিকে সংগঠনের শ্রীবৃদ্ধি করে চলেছে।

গত লোকসভা নির্বাচনে বাংলাজুড়ে ভালো ফল করেছিল বিজেপি। কিন্তু বিধানসভা ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরের
আত্মবিশ্বাসী বিরাট ফাটল ধরা পড়ছে। বিজেপিকে একের পর এক গোল দিয়েছে শাসকদল তৃণমূল। বিজেপির একাধিক শক্তঘাঁটিতে থাবা বসিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। বিজেপির হেভিওয়েট নেতা থেকে তৃণমূলস্তরের বুথ কর্মীদের ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। আর ঘাসফুল শিবিরের বাউন্সারে একের পর এক উইকেট পতনে সিঁদুরে মেঘ দেখছে গেরুয়া শিবিরের ভোট ম্যানেজারেরা।

রবিবার ফের গেরুয়া শিবিরে বড়সড় থাবা বসালো শাসক দল। এবার কলকাতার উপকণ্ঠে প্রায় এক হাজারেরও বেশি বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূলে। দক্ষিণ হাওড়া, শিবপুর এবং মধ্য হাওড়া এই তিন বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি-সহ বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রায় এক হাজার কর্মী সমর্থক রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। যার মধ্যে বেশকিছু স্থানীয়স্তরের নেতাও ছিলেন।

হাওড়া সদর তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের হাত ধরে জেলা কার্যালয়ে যোগদানকারী সকলের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়। যোগদান পর্বের পর অরূপ রায় বলেন, “এরা তৃণমূলে যোগদান করতে চেয়ে আমাদের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছিলেন। আমরা সেই আবেদন মঞ্জুর করেছি। স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে এদের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই তৃণমূলের ভার্চুয়াল শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান থেকে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, “ভুল করে যদি কেউ বিজেপিতে গিয়ে থাকেন, তাহলে তৃণমূলে ফিরে আসুন। কেউ যদি কংগ্রেস বা সিপিএমে গিয়ে থাকেন, তাঁরাও ফিরে আসুন। মানুষের জন্যে যদি কাজ করতে চান, তাহলে তৃণমূলেই একমাত্র সেই সুযোগ পাবেন।” তারপর থেকেই বিজেপি-সহ অন্য বিরোধী দল ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগদানের হিড়িক লেগেছে।

Previous articleপথ দেখালো রামকৃষ্ণ মিশন সেবাপ্রতিষ্ঠান, বসানো হলো করোনা প্রতিরোধক ‘সাইকো ক্যান’
Next articleদিলীপ ঘোষকে নাড্ডা : আরও জোরদার লড়াই শুরু করুন