পথ দেখালো রামকৃষ্ণ মিশন সেবাপ্রতিষ্ঠান, বসানো হলো করোনা প্রতিরোধক ‘সাইকো ক্যান’

মারণ ভাইরাস করোনার হাত থেকে কবে মিলতে পারে স্বাধীনতা? তার উত্তর জানা নেই। আদৌ কি মিলবে? সে কথাও ঠিকভাবে বলতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা। প্রতিষেধক কবে পাওয়া যাবে তারও ঠিক নেই। তাহলে এই ভাইরাসের থাবা থেকে রক্ষা মিলবে কীভাবে ? পথ দেখালো

রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান৷

সংক্রমণকে দূরেও রাখতে কলকাতায় রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে বসানো হলো করোনা প্রতিরোধক যন্ত্র। যার নাম ‘স্ক্যালান হাইপারচার্জ করোনা ক্যানন’ সংক্ষেপে ‘সাইকো ক্যান’।

কোভিড ভাইরাসের বিরুদ্ধে রীতিমতো বর্মের মতো কাজ করবে এই যন্ত্র। ভারতীয় বিজ্ঞানীর রাজা বিজয় কুমারের আবিষ্কার এটি। আশাবাদী রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন অর্থাৎ ১৪ অগাস্ট ভারতীয় বিজ্ঞানীর আবিষ্কৃত করোনা প্রতিরোধক যন্ত্রের সূচনা হলো। পূর্ব ভারতে এই প্রথম কলকাতায় রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে এই যন্ত্র বসানো হলো। দাবি করা হচ্ছে, এই যন্ত্র বসালে সংক্রমিত ব্যক্তি থেকে কোনও সংক্রমণ ছড়াবে না।

এ বিষয় রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানের ডক্টর ইন চার্জ স্বামী শক্তিপ্রদানন্দ বলেন, “রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান এই মেশিনটি ভীষণভাবে উপকৃত। মানব সমাজের হিতার্থে লাগবে এই যন্ত্র। তার জন্য আমরা তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমাদের সবারই ভালো লাগবে। এই যন্ত্রটির আবিষ্কারের ফলে যদি একটু কিছু উপকার হয় মানব জাতির।“

মহামারির আবহে বিভিন্ন হাসপাতালেও ভাইরাস সংক্রমণ হু হু ছড়াচ্ছে। সেই সংক্রমণ রুখতে রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানের এমার্জেন্সি বিভাগে বসানো হয়েছে ‘সাইকো ক্যান’। যন্ত্রটি দান করেছেন উৎপাদন ও বিপণনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা।

এই যন্ত্র সম্পর্কে বললেন মেডুইন হেলথ কেয়ারের সিইও দেবাশিস বসু। তিনি বলেন, “’সাইকো ক্যান’ একটি ডিভাইস। এই মেশিনের দ্বারা সংক্রমণ ছড়াবেনা। অর্থাৎ একটা জায়গায় যদি করোনা রোগী এসে থাকেন, তিনি যদি কারোর সংস্পর্শে আসেন তার থেকে অন্য কারোর মধ্যে সংক্রমণ যাবে না।“

রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি স্বামী শৈলজানন্দ বলেন, “এটা একটা বিরাট ব্যাপার হবে। যদি কার্যকরী হয়। ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করি এই যন্ত্র যেন সফল হয়।“

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা প্রতিরোধক এই যন্ত্র কোথাও বসানো হলে তার ১০০০ স্কোয়ার ফুট এবং ১০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে পারে। এবং তা নিরাপদ। ভবিষ্যতে এই ধরনের যন্ত্র হাসপাতালের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিসেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

Previous articleরান আউটে শুরু-রান আউটেই শেষ, ধোনির ক্রিকেট বৃত্তের মাঝেরটা ইতিহাস!
Next articleহাওড়ায় গেরুয়া শিবিরে ব্যাপক ভাঙন, তৃণমূলে যোগ কয়েক হাজার বিজেপি কর্মীর