সড়ক-টু: যিশুর পক্ষে কলম ধরলেন রাহুল অরুণোদয়

‘‘ব্যর্থতার চোরাগলি থেকে সাফল্যের রাজপথে এক বাঙালির যাত্রা: যিশু সেনগুপ্ত, নামটা জানেন নিশ্চয়ই! জানবেন না কেন?সেই মহাপ্রভু থেকে দেখে আসছেন,কম দিন তো নয়….এই নেপোটিজম এর পৃথিবীতে স্বীকার করে রাখা ভাল ভদ্রলোকের বাবা উজ্জ্বল সেনগুপ্ত মঞ্চের কিংবদন্তি হলেও ষ্টুডিও পাড়ায় নক্ষত্র ছিলেন না কোনোমতেই …কাজেই রাস্তাটা এত সহজ ছিল না…আপনাদের সামনে কি আর বলব? আপনারা তো সবটাই দেখেছেন…মহাপ্রভুর উত্তুঙ্গ সাফল্যও ফিল্মের দরজা খোলেনি…বড়োজোর জুটেছে ইটিভি তে শুধু তোমারই জন্য, টেলিফিল্মের এর পাসপোর্ট…বড়ো পর্দায় জুটেছে নায়কের ভাই, বন্ধুর চরিত্র …আর দ্বিতীয়,তৃতীয় শ্রেণির কমার্শিয়াল ছবি, যা বাকিরা করতে রাজি হত না, তারপর পারফরম্যান্সের সততা দেখেই হোক বা মুখের সারল্য দেখেই হোক গৌতম ঘোষের আবার অরণ্যের পথ বেয়ে এলেন ঋতুদা ….শুরু হল এক নতুন পথ চলা…যাই হোক চর্বিতচর্বন কেনই বা করছি …অভিনেতার সাফল্য বলুন বা ব্যর্থতা বলুন সবটাই আপনাদের সামনে খোলা খাতার মতো…আপনারা সবটাই জানেন, তাহলে এতো কথা কেন? আসলে কী জানেন তো? আড়াই দশকের লড়াই করে মুম্বইতে যে জায়গাটা করেছেন বা করতে চাইছেন তার একটা গুরুত্বপূর্ণ মোড় হচ্ছে সড়ক-২…’’ সহ-অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তর হয়ে এই ভাষাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ সড়ক দুইয়ের ট্রেলারকে রেকর্ড সংখ্যক ডিজলাইক দেওয়া হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ছবিতে অন্যান্য অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গেই রয়েছেন বাংলার অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত। একদিকে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু নিয়ে যখন তোলপাড় দেশ, তাঁর মৃত্যুর কারণ হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে কজন প্রযোজক-পরিচালককে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম মহেশ ভাট, সে অবস্থায় দাঁড়িয়ে সড়ক টু-এর নিয়ে বিরুদ্ধে প্রচার চলছে বিভিন্ন জায়গায়। এমনকী হ্যাশট্যাগ দিয়ে সড়ক 2 বয়কট করার ডাক দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন,

‘‘আপনারা মহেশ ভট্ট এবং বাকিদের কারণে যখন ছবিটা বয়কট করবেন ভাবছেন, তখন আপনার ঘরের ছেলেটা কতটা অবসাদে চলে যাচ্ছে তার খবর রাখছেন তো?’’
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে নেপোটিজম নিয়ে তোলপাড় দেশ। যে ছবি ঘিরে উৎসাহের অন্ত ছিল না, সেই খবির ট্রেলার মুক্তির অনেক আগে থেকেই স্যোশাল মিডিয়ায় #বয়কটসড়কটু প্রচার। ছবিতে তারকার মেলা। সঞ্জয় দত্ত, আলিয়া ভাট, আদিত্য রায় কপুর, পূজা ভাট এবং যিশু সেনগুপ্ত। নেপোটিজমের অভিযোগের তির এই ছবি 2 মুখ্য অভিনেতা-অভিনেত্রী আলিয়া ভাট আর প্রযোজক সিদ্ধার্থ রায় কপুরের ছোট ভাই আদিত্যের দিকে।
এইসব ঘিরেই সড়ক টুর ট্রেলার মুখ থুবড়ে পড়েছে। যে ছবি হতে চলেছিল যিশুর বলিউড যাত্রার টার্নিং পয়েন্ট তার সাফল্য এখন বিশ বাঁও জলে। এনিয়ে বাংলার ছেলে যিশু মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারেন। একথা কেউ ভাবছে না? প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল।
তাই সোশ্যালে দীর্ঘ পোস্ট। যিশুর স্ট্রাগলের কথা বাংলার দর্শকদের মনে করিয়ে দেন তিনি।
‘‘যিশু সেনগুপ্তের আড়াই দশকের স্ট্রাগল আপনাদের বয়কটের নদীতে ভেসে যাচ্ছে না তো? না, যিশুদা কোনও খারাপ স্টেপ নেবে এই ভয় নেই…কারণ যিশুদার পিছনে একটা সলিড ফ্যামিলি সাপোর্ট আছে …কিন্তু আড়াই দশক পর এই ব্যবহার নিজের ভাষার লোকেদের কাছে প্রাপ্য কি?” রাহুলের এই পোস্ট ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন যিশু-র স্ত্রী নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত।

Previous articleমমতা ছাড়া বাংলায় বিকল্প নেই, তৃণমূলের যোগ দিয়ে দাবি কৃশানুর
Next articleঅশান্তির জেরে: অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ বিশ্বভারতী