মমতা ছাড়া বাংলায় বিকল্প নেই, তৃণমূলের যোগ দিয়ে দাবি কৃশানুর

“বাংলায় দাঁড়িয়ে মানুষের জন্য কাজ করতে হলে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই। সেটা আমি বিজেপিতে থাকার সময়ও অনুভব করেছি। আর বিজেপির বাংলায় তো কোনও নেতাই নেই। সেটা দিনের পর দিন স্পষ্ট হচ্ছে। গুজরাত থেকে নেতা এনে বাংলা শাসন করা যায় না। তাই জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম। তৃণমূলই বর্তমান, তৃণমূলী ভবিষ্যৎ। তাই ২১ জুলাই মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানের পর আর ঘরে বসে থাকতে পারিনি। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।” আজ সোমবার তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করার পর এমনই মন্তব্য করলেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা তথা আরএসএস সদস্য কৃশানু মিত্র।

দলে যোগদান করার পর ‘এখন বিশ্ব বাংলা সংবাদ’-এর মুখোমুখি হয় কৃশানু মিত্র জানান, আগামী দিনে আরও বড় লড়াই-সংগ্রামের পথে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথী হয়ে কাজ করবেন। দল যেমন নির্দেশ দেবে সেভাবেই এগিয়ে যাবেন তিনি।

২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে কৃশানু মিত্র জানান, তৃণমূল আগের চেয়েও আরও বেশি আসনে জিতবে। আর বিজেপির এই রাজ্যে কোন চিহ্ন থাকবে না।

তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি এবং বিজেপির সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছুজন তৃণমূলের সঙ্গে যোগ দিলেন। বাংলা এবং বাঙালির স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর হাত শক্ত করতে তৃণমূলে যোগ দিলেন তাঁরা। বিজেপি বা অন্য দল ছেড়ে একের পর এক নেতা-কর্মীর তৃণমূলে যোগদান প্রমাণ করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি মানুষের আস্থা দিন দিন বাড়ছে। আগামী দিনে আরও অনেকে তৃণমূলে যোগদান করার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন।

কৃশানু মিত্র ছাড়াও এদিন তৃণমূল ভবনে আরও বেশ কয়েকটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলেন।

উল্লেখ্য, একটা সময় রোজই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কৃশানু মিত্র বিজেপির মুখপাত্রের ভূমিকায় বিতর্কে যোগ দিতেন। রাজ্য রাজনীতিতে সুবক্তা বলেই পরিচিত কৃশানু। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে কামারহাটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে মদন মিত্রের বিরুদ্ধে পদ্ম চিহ্নে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন।
কৃশানু মিত্র RSS প্রচারক ছিলেন। তিনি নিজেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখিত ভাবে দলে যোগদানের আবেদন করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই তৃণমূল ভবনে তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

Previous articleপথ দেখাচ্ছে যাদবপুর! পড়ুয়াদের স্মার্টফোন ও ডেটা-প্যাক প্রদানের সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের
Next articleসড়ক-টু: যিশুর পক্ষে কলম ধরলেন রাহুল অরুণোদয়