করোনা মোকাবিলার ক্ষমতা ভারতীয়দের মধ্যে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে । দিল্লিতে সম্প্রতি যে ‘সেরো- সার্ভে’ হয়েছে, তার রিপোর্ট’ এমন কথাই বলছে৷

রিপোর্টে বলা হয়েছে, শরীরের মধ্যে নিজে থেকেই তৈরি হয়েছে অ্যান্টিবডি। এর অর্থ করোনা-ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলেও বহু মানুষকে তা কাবু করতে পারেনি। কোনও উপসর্গও দেখা দেয়নি। ICMR বলছে,শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই এই ভাইরাসকে হারিয়ে দিয়েছে৷ সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, দিল্লির ২৯.১ শতাংশ মানুষ নিজের অজান্তেই ভাইরাসের মোকাবিলা করেছেন। এক মাস আগেও প্রথম সেরো সার্ভেতে যা ছিল ২৩ শতাংশ। ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সের ১৫ হাজার মানুষের মধ্যে এই সমীক্ষা হয়েছে।

ICMR-এর নির্দেশ অনুসারে রাজধানী দিল্লি সহ বিভিন্ন রাজ্যে এই সেরো-সার্ভে শুরু হয়েছে। এ রাজ্যের কলকাতা হাওড়া, আলিপুরদুয়ারে এই কাজ চলছে। ICMR জানিয়েছে, গোটা দেশের রিপোর্ট প্রকাশ হতে কিছুটা সময় লাগবে৷ ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল বা NCDC-র সহযোগিতায় দিল্লি সরকার দু’দফায় যে সেরো-সার্ভে করেছে, তা একদিকে যেমন করোনা মোকাবিলায় পরবর্তী পরিকল্পনা গ্রহণে সাহায্য করছে, একইসঙ্গে যে অঞ্চলে এই সমীক্ষা হয়েছে, সেখানেও বাড়তি নজর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাতে ওই এলাকা থেকে ভাইরাস ছড়াতে না পারে। ICMR-এর এপিডেমিনোলজি অ্যান্ড কমিউনিকেবল ডিজিসেস বিভাগের বক্তব্য, উপসর্গ দেখা না দিলেও সমীক্ষায় বোঝা যাচ্ছে, শরীরে করোনার সঙ্গে লড়ার ক্ষমতা অনেকেরই রয়েছে। এটা ভাল দিক। এমনও হতে পারে, যতটা পরিমাণ ভাইরাস শরীরে ঢুকেছিল, তা জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টর মতো সমস্যা তৈরিই করতে পারেনি৷
তাই উপসর্গও দেখা দেয়নি। তবে ICMR ফের সতর্ক করেছে, উপসর্গহীনদের থেকেও সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্ববিধি রক্ষা করার মতো সাবধানতা অবলম্বন করতেই হবে।
