নিজেই নিকাশি নালায় নেমে এক বৃদ্ধকে প্রাণে বাঁচালেন সিপিএমের বিদায়ী কাউন্সিলর

এখনও এমন হয়৷

সংক্রমণ- আবহ হলেও সকলেই কিন্তু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত নন৷ কিছু মানুষ এখনও নিজের কথা না ভেবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই৷

চুঁচুড়া পুরসভার এক বিদায়ী সিপিএম কাউন্সিলরের অসমসাহসী পদক্ষেপে
প্রাণে রক্ষা পেলেন এক মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধ।

জানা গিয়েছে, মানসিক ভারসাম্যহীন বছর ৭০-এর এক বৃদ্ধ, নাম, রামচন্দ্র রজক, চুঁচুড়া পুরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের মোগলপুরা লেনের বাসিন্দা। বুধবার গভীর রাতে বাড়ির লোকজনের অজান্তেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন তিনি। হাঁটতে থাকার সময় কাপাসডাঙা পালপাড়া এলাকার একটি নিকাশি নালার মধ্যে পড়ে যান ওই ভারসাম্যহীন বৃদ্ধ। সারারাত ওই নালার নোংরা জলের মধ্যেই পড়ে ছিলেন বৃদ্ধ। বৃষ্টিতে আরও আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়৷

রাতভর ওইভাবেই পড়ে ছিলেন বৃদ্ধ৷ বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ কিছু মানুষ গোঙানির আওয়াজ শুনে নিকাশি নালার কাছে গিয়ে দেখেন, ওই বৃদ্ধ আছেন৷ করোনা আতঙ্কে সকলেই দূর থেকে উঁকি মেরে চলে যান। একজনও এগিয়ে এসে বৃদ্ধকে উদ্ধার করার চেষ্টাই করেননি৷ ফলে, ভোর হওয়ার পরও ঘন্টা তিনেক ওই ভাবেই পড়ে থাকেন বৃদ্ধ। এরপরই সিপিএমের বিদায়ী কাউন্সিলর সমীর মজুমদারের কাছে খবরটি পৌঁছায়। তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান। দেখেন তখনও ওই বৃদ্ধ বেঁচে আছে৷ দ্বিতীয় কোনও চিন্তা না করেই বৃদ্ধকে বাঁচাতে নিকাশি নালায় নেমে পড়েন সমীরবাবু। তখনও ওই বৃদ্ধকে তুলতে কেউ এগিয়ে আসেননি৷ সকলেই সংক্রমণের অজুহাত দেখিয়ে চলে যান। শেষপর্যন্ত মরিয়া হয়ে সমীরবাবু অনেক চেষ্টার পর একাই ওই বৃদ্ধকে নালা থেকে তোলেন। এরপর ওই অবস্থাতেই সমীরবাবু নিজে ওই বৃদ্ধকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসেন। বৃদ্ধের পরিবার কিন্তু সমীরবাবুকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷ এলাকার মানুষ অভিনন্দন জানিয়েছেন ওই সিপিএম নেতাকে৷

 

Previous articleকরোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ফের এক পুলিশ কর্মীর
Next articleভারতে করোনার বলি ৫৫ হাজারের দোরগোড়ায়