কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভানেত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সোনিয়া গান্ধী। আর সেই নিয়ে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে তুলকালাম। ৫৪জনের মধ্যে একসঙ্গে ৫২জন সাংসদ সোনিয়াকে বলেন, তাঁরা মোটেই সভানেত্রীর ইস্তফা চাননি। তাঁরা চান নেত্রীই কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দিন। কিন্তু সোনিয়া জানিয়ে দেন, তিনি আর দায়িত্ব সামলাবেন না। নতুন কেউ দায়িত্ব নিন। পাল্টা রাহুল গান্ধী প্রশ্ন তোলেন, সোনিয়া গান্ধী হাসপাতালে থাকাকালীন কেন চিঠি লেখা হয়েছিল? রাহুলের সূত্র ধরে কুমারী শৈলজা বলেন, যাঁরা চিঠি লিখেছেন, তাঁরা বিজেপির এজেন্ট। মুখ খুলে কপিল সিব্বাল বলেন, আমি কেন বিজেপি হতে যাব? ৩০ বছর ধরে বিজেপির সমর্থনে আমি কোনও কথা বলিনি। রাজস্থান কিংবা মণিপুরে সরকার বাঁচাতে আইনি লড়াই লড়েছি। সব মিলিয়ে উত্তপ্ত কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। শেষ পর্যন্ত পদত্যাগেই সোনিয়া অনড় থাকেন কিনা দেখার। অন্যদিকে গান্ধী পরিবারের বাইরে যদি শেষ পর্যন্ত কাউকে বাছতেই হয়, তাহলে এগিয়ে রাজস্থান মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
