মহামারি আবহে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ছ’ মাস পরে এই বৈঠকের হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক এবং প্রশাসনিক কর্তাদের কাজের হিসেব নেন তিনি। এদিনের বৈঠকে উত্তর ২৪ পরগনার সংক্রমণের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে হুগলির জেলাশাসককে ভর্ৎসনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “উত্তর ২৪ পরগনার প্রতিবছর বেশি ডেঙ্গি হচ্ছে।” তাঁর প্রশ্ন কেন নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে না? কেন ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে? উত্তর ২৪ পরগনা এবং হাওড়ার মৃত্যু হার বেশি হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ” উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্লাবনের জন্য সমস্যা তৈরি হয়েছে। নতুন তালিকা মেনে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ত্রাণের টাকা দিতে হবে।” কাজ ঠিকমতো না হওয়ায় হুগলির জেলাশাসককে ভর্ৎসনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কড়া ভাষায় তিনি বলেন, “কাজ ঠিকমতো করা হচ্ছে না। এইচআরবিসি- র কাজও ভালো না। সবথেকে খারাপ পারফরম্যান্স।”

জেলাশাসক এবং প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান লকডাউন চলাকালীন জেলার উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি কতটা এগিয়েছে? কোথায় খামতি আছে তাও জানতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জিজ্ঞেস করেন, ভিন রাজ্য থেকে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে কতজন কাজ পেয়েছেন? আমফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে ত্রাণ ও পুনর্গঠনের কাজ কতটা এগিয়েছে? পাশাপাশি অর্থনীতিকে নিচুতলায় চাঙ্গা করতে সরকারি নীতি কতটা কার্যকর করা হয়েছে তাও জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী।
