বাগানে রংবেরঙের ফুল। তাই দেখে বাগানে ঢুকে পড়েছিল ছোট্ট মেয়েটি। ফুলের লোভ সামলাতে পারেনি। দু’চারটে ফুলও তুলেছিল। উচ্চবর্ণের বাগানে ফুল তোলার অপরাধের মাসুল দিতে হল ৪০টি দলিত পরিবারকে। গ্রামে একঘরে করা হয়েছে পরিবারগুলিকে। শুধু তাই নয় রেশন দোকানে বলে দেওয়া হয়েছে যেনো ওই পরিবারের কোনও সদস্য রেশন না পান। ওড়িশার ঢেঙ্কানলের কান্তিও কাটেনি নামক এক প্রত্যন্ত গ্রামে ঘটেছে এমনই নিন্দনীয় ঘটনা।
ঘটনাটি ঠিক কী?
এই ঘটনার সূত্রপাত মাস দুয়েক আগে। এক দলিত পরিবারে শিশু উচ্চবর্ণের একটি বাড়িতে গিয়ে ফুল তুলে আনে। আর তাই গ্রামের গোটা দলিত সম্প্রদায়কেই একঘরে করে রাখা হয়েছে। গ্রামীণ রেশন দোকানেও জানানো হয়েছে, এই ৪০ টি পরিবারকে যেন রেশন না দেওযা হয়। পাশাপাশি কোনও গ্রামীণ অনুষ্ঠানে তাঁদের প্রবেশের অনুমতি নেইই। এমনকি এই সম্প্রদায়ভুক্ত স্কুল শিক্ষককে বারবার চাপ দেওয়া হয়েছে যাতে তিনি বদলি নিয়ে নেন।
দলিত সম্প্রদায়ভুক্ত এক গ্রামবাসী বিজয়কুমার নায়েক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “শিশুটি সূর্যমুখী ফুল তুলে এনেছিল। সেখান থেকেই শুরু হয় সমস্যা, আমাদের একঘরে করে দেওযা হয়েছিল।” পুরো ঘটনাটি জানানো হয় থানায়। পুলিশের সামনে ঘটনাটি আসায় পুলিশ দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলেই একটা মীমাংসা সূত্র খোঁজার চেষ্টা করেছে।
ওই গ্রামের গ্রামপ্রধান প্রানবন্ধু দাসের কথায়, “এটা অনেকে দুই সম্প্রদায়ের ঝামেলা বলে দেখানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশ কথা বলে সমস্যা মিটিয়ে ফেলেছে।”