কংগ্রেসের অন্দরের ফাটল ক্রমশই চওড়া হচ্ছে, ফের বিস্ফোরক গুলাম নবি আজাদ

তথাকথিত বিদ্রোহীদের ছেঁটে সোনিয়া গান্ধী কংগ্রেসের বড় পদে রাহুল-ঘনিষ্ঠদের নিয়োগ করার পরই ফের বিস্ফোরণ ঘটালেন গুলাম নবি আজাদ৷

‘বিদ্রোহী’ শিবিরের অন্যতম নেতা গুলাম নবি আজাদ সংবাদমাধ্যমে নাম না করে সোনিয়া- রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন৷ তিনি বলছেন, “যদি এখনই দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন না হয়, তাহলে আগামী ৫০ বছরেও ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না কংগ্রেস”৷

কংগ্রেসের অন্দরের ফাটল ক্রমশই চওড়া হচ্ছে। সোনিয়া গান্ধী দলের গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারণ কমিটি থেকে বিদ্রোহীদের সরিয়ে দেওয়ার প্রথম ধাপে পা রেখেছেন৷ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে আনা হয়েছে রাহুল-ঘণিষ্ঠদের৷ দলের বিদ্রোহীরা বার্তা পেয়েছেন, তাঁদের পদ আর বেশিদিন নিরাপদ থাকবেনা৷
এদিন তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটালেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ৷
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তথা কাশ্মীরের প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ”দলকে শক্তিশালী করতে
এখনই উচিত ব্লকস্তর থেকে শুরু করে জেলা কমিটি, রাজ্য কমিটি এবং অবশ্যই কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি পর্যন্ত প্রতিটি পদে নির্বাচন করা। নির্বাচনে জিতে পদে এলে কমপক্ষে ৫১% কর্মীর সমর্থন থাকবে। যারা নির্বাচনে পরাজিত হবেন, তাঁদের পিছনেও ১০-১৫% সমর্থন থাকে। তাঁরা চেষ্টা করবেন পরেরবার ভোটে জেতার জন্য ভালভাবে দলের কাজ করতে।”

আজাদ আরও স্পষ্টভাবেই বলেছেন, “আজকাল তো প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হচ্ছেন তোষামোদকারীরা। আজকাল এমন সব নেতা প্রদেশ সভাপতি হচ্ছেন, যাদের রাজ্যে কোনও ভূমিকাই নেই, শুধুই দিল্লিতে যোগাযোগ আছে। কোনও বড় নেতা তাঁদের হয়ে সুপারিশ করে সভাপতি বানাচ্ছেন৷”
আজাদ বলেছেন, ”দলের যে নেতারা নির্বাচন চাইছেন না, তাঁরা সস্তার রাজনীতি করছেন। নির্বাচনে না জিতলে ১ শতাংশ গ্রহণযোগ্যতাও কারও থাকে না।” তিনি বলেছেন, “আজ থেকে ১৫ বছর আগেই হয়তো নির্বাচন করা উচিত ছিল। দলে দশকের পর দশক অভ্যন্তরীণ নির্বাচন হয়নি। যারা আমাদের দাবির বিরোধিতা করছে, তাঁরা জানে যে, নির্বাচন হলে তাঁরা কোথাও জায়গা পাবেন না। আ দল এভাবে আগামী ৫০ বছর বিরোধী আসনে বসতে চায়, তাহলে নির্বাচনের কোনও দরকার নেই।”

Previous articleসেপ্টেম্বরে নয়, পুজোর আগে পরীক্ষার ভাবনা-চিন্তা, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
Next articleপরীক্ষা দিতে গিয়ে পড়ুয়ারা কোভিডে আক্রান্ত হলে কে দায়িত্ব নেবে! প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর