উত্তরে এবার বিপর্যয়ের মেঘ, ভাসছে দক্ষিণের জেলা  

বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গের একটানা বৃষ্টি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস মত বৃহস্পতিবার থেকে দক্ষিণের পরিস্থিতির উন্নতি হলেও জলমগ্ন বেশ কয়েকটি জেলা। এরইমধ্যে উত্তরের ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানাল হাওয়া অফিস ।রবিবার থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হবে উত্তরবঙ্গে। জারি করা হয়েছে সতর্কতাও।

এদিকে, দক্ষিণের এক টানা বৃষ্টিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের বেশ কয়েকটি এলাকা জলমগ্ন। প্লাবিত পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর এর প্রায় ৫০ টি গ্রাম। নদীর জল স্তর বৃদ্ধিতে ভেঙে পড়েছে সেতু। নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের বহু এলাকা। দিঘা, শঙ্করপুর , তাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় জলমগ্ন। চলছে উদ্ধার কাজ। পশ্চিম মেদিনীপুরের প্লাবিত গ্রামের বাসিন্দাদের নিয়ে আসা হচ্ছে ক্যাম্পে। বিলি করা হচ্ছে ত্রাণ। অতিমারির পরিস্থিতিতে এটি নতুন করে সমস্যার আকার নিয়েছে।

এই মরশুমে স্বাভাবিকের কুড়ি শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে মুর্শিদাবাদে। ১৮ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে দুই বর্ধমান আর উত্তর ২৪ পরগণায়। নদিয়ায় বৃষ্টি হয়েছে স্বাভাবিকের থেকে ১৭ শতাংশ বেশি। কলকাতায় স্বাভাবিকের থেকে ১৩ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বীরভূমে স্বাভাবিকের থেকে ১০, পুরুলিয়ায় ৯, বাঁকুড়ায় ৮ আর হুগলিতে পাঁচ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। অন্য দিকে পশ্চিম মেদিনীপুরে স্বাভাবিকের থেকে ৪ হাওড়ায় ৮, পূর্ব মেদিনীপুরে ১৭ আর দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ১৮ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে।

তবে, দক্ষিণবঙ্গে যত দিন বৃষ্টির দাপট ছিল উত্তরবঙ্গে বিশেষ বৃষ্টি হয়নি। চলতি সপ্তাহের নিরিখে ৩৬ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে উত্তরবঙ্গে। পয়লা আগস্ট থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত বৃষ্টির ঘাটতি ৩৬ শতাংশ। কিন্তু এবার ফের সেখানে বৃষ্টি বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে হাওয়া অফিস।

 


জলপাইগুড়িরে ১৮ শতাংশ, দার্জিলিঙে ৫ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। ফলে আগস্টে সে ভাবে বৃষ্টি হয়নি এই পরিমান ঘাটতির অঙ্ক থেকে তা স্পষ্ট। বৃষ্টিহীন এই পরিস্থিতি খুব শীঘ্রই কাটবে উত্তরবঙ্গে। এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

 

Previous articleএকই পরিবারের চারজনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ , উদ্বিগ্ন পানিহাটির বাসিন্দারা
Next articleছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে মহাজাতি সদন চত্বরে ধুন্ধুমার