দাদাকে খুন করে হঠাৎ ৬ বছর পর ‘অনুশোচনা’! উঠছে একাধিক প্রশ্ন

প্রায় ৬ বছর আগে দাদাকে খুন করেছেন বলে আত্মসমর্পণ করেছেন দুই ভাই। নিজেরাই জানিয়েছেন, অনুশোচনা হচ্ছিল। তাই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তাঁরা।জগদ্দলের বাসিন্দা অপু শীল এবং তপু শীলের কাণ্ডে হতবাক প্রতিবেশীরা। কেন তাঁরা খুন করলেন দাদাকে? কেন হঠাৎ ৬ বছর পর অনুশোচনা? কেনই বা এতদিন পর শাস্তি মাথা পেতে নিতে চান তাঁরা? উঠছে একাধিক প্রশ্ন।

এই বিষয়ে মনোবিদ সুজিত সরখেল বলেন, “প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এই খুন পরিকল্পনামাফিক ছিল না। বচসার জেরে কোনও এক ভাইয়ের মৃত্যু হয়। ধরা পড়া, আইনি পদক্ষেপ, সমাজের ভয়ে তাঁরা মৃতদেহ মাটিতে পুঁতে দেন। এরকম ক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে বিবেক দংশন হওয়াটা স্বাভাবিক। হয়ত তাঁদের মনে হয়েছে এই বোঝা বয়ে নিয়ে বেড়ানো সম্ভব না।”

প্রসঙ্গত, পারিবারিক বিবাদের জেরে ২০১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর দাদা নিপু শীলকে খুন করে বাড়ির সামনেই পুঁতে দেন দুই ভাই। এরপর গা ঢাকা দেন অপু শীল এবং তপু শীল। প্রায় ৬ বছর ফিরে এসে জগদ্দল থানায় আত্মসমর্পণ করেন তাঁরা। প্রথমে পুলিশ বিশ্বাস করতে চায়নি। পরে বাড়ির সামনে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় মৃত দাদার কঙ্কাল।

 

Previous articleBreaking: মেট্রো এবং লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করতে রেলমন্ত্রকের কাছে আবেদন রাজ্যের
Next articleআচমকা বিকট শব্দে চলন্ত গাড়িতে বিস্ফোরণ! বাকিটা গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো