সংসদেও প্রশ্ন করা যাবে না, বাদল অধিবেশনে থাকছে না ‘কোশ্চেন আওয়ার’

এটাই বাকি ছিলো, এবার তাও হলো৷

সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনে বাতিল করা হলো ‘কোশ্চেন আওয়ার’৷ এর ফলে বিরোধীরা সংসদে আর প্রশ্নই করতে পারবে না৷

বিচিত্র ফতোয়া এখানেই শেষ নয়৷ এবার একই সঙ্গে বাতিল করা হয়েছে “প্রাইভেট মেম্বার বিজনেস”৷ জিরো আওয়ারের সময়ও কমিয়ে মাত্র আধ ঘণ্টা করা হয়েছে৷

আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে লোকসভার বাদল অধিবেশন। প্রথম দিন সকালে লোকসভা এবং বিকেলে রাজ্যসভার অধিবেশন বসবে। মাত্র ৪ ঘণ্টার অধিবেশন।মহামারির কারনে লকডাউন শুরুর পর সংসদে আর অধিবেশন হয়নি। লকডাউনের আগেই বন্ধ হয় সংসদ।

সরকারের যাবতীয় কাজ এবং সংসদীয় কমিটির বৈঠক হয়েছে ভারচুয়ালি। এবার বেশ কিছু সতর্কতা মেনে ‘আসল’ সংসদ খুলছে৷ মহামারি বিধি মেনে চলার কারনে চিরাচারিত কিছু প্রথা বা পদ্ধতি এবার অধিবেশন থেকে বাদ যাচ্ছে। রাজ্যসভার সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যসভা এবং লোকসভা অধিবেশন একসঙ্গে চলবে না। আলাদা আলাদা সময়ে মাত্র ৪ ঘণ্টা করে দুই কক্ষের অধিবেশন হবে৷ প্রথমে রাজ্যসভা, তারপর হবে লোকসভার অধিবেশন৷ রাজ্যসভার অধিবেশন শেষ হওয়ার পর বিকেল ৪টে থেকে শুরু হবে লোকসভা অধিবেশন। চলবে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত।
তাই সংসদ অধিবেশনে কোশ্চেন আওয়ার পুরোপুরি ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
কোশ্চেন আওয়ারে সরকারপক্ষকে প্রশ্ন করার অধিকার পায় বিরোধীরা। লিখিত বা মৌখিকভাবে সরকার সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য৷ এবার আর তা হচ্ছেনা৷

এই সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ বিরোধীরা। কংগ্রেসের অধীর চৌধুরি, তৃণমূলের ডেরেক ও ব্রায়েন, সকলেই সরব হয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, সরকার কৌশলে বিরোধীদের অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। আসলে প্রশ্নের মুখোমুখি হতেই ভয় পায় মোদি সরকার। জিরো আওয়ারের সময়সীমা কমিয়ে দেওয়া নিয়েও ক্ষুব্ধ বিরোধীরা৷ জিরো আওয়ারে সাধারণত সেই মুহুর্তের সমস্যা নিয়ে আলোচনার সুযোগ পান বিরোধীরা। সেটাও কমিয়ে আধ ঘণ্টা করা হয়েছে। ক্ষোভের আগুন বাড়ছে দেখে আসরে নেমেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বিরোধীদের ফোন করে বোঝাচ্ছেন যে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিরুপায় হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

আরও পড়ুন- ৩৫ হাজারের বেশি শূন্যপদে নিয়োগ, ঘোষণা রেল বোর্ডের

Previous article৩৫ হাজারের বেশি শূন্যপদে নিয়োগ, ঘোষণা রেল বোর্ডের
Next articleবিষাদের মাঝে আলোর খোঁজে রবি ঠাকুরের কবিতা অবলম্বনে চেতলা অগ্রণীর থিম “দুঃসময়”