আজ বুধবার নারকেল দিবস। দারিদ্রতা দূরীকরণ-সহ এর গুরুত্ব প্রচারে এই দিনটি পালন করা হয়। যীশু খ্রিস্টের জন্মের আগেও এই ফল ছিল। এই ফলের উল্লেখ আছে রামায়ণেও।

তবে ভারতে নয় সবচেয়ে বেশি নারকেল হয় মায়ানমার এবং ইন্দোনেশিয়া মালদ্বীপের কোট অব আমর্সে। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় প্রতি বছর এই দিনটি নারকেল দিবস পালন করা হয়। কারণ নারকেলকে অবলম্বন করে বেঁচে থাকতে পারে মানুষ। গড়ে উঠতে পারে জীবিকা। এই বার্তা দেওয়াই নারকেল দিবস পালনের মূল লক্ষ্য।

কী থাকে একটা সুপুষ্ট নারকেলে? থাকে ৪০০ গ্রাম শাঁস, ১৫০ মিলিমিটার জল আর প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, ভিটামিন, ক্যালোরি। কিন্তু নারকেলের আসল আদর নারকেল তেলের জন্য। পুরীতে জগন্নাথের রথ তৈরি হয় নারকেল কাঠ দিয়ে। পুরানে তাই এই গাছটিকে কলপবৃক্ষ নাম দেওয়া হয়েছে। দারিদ্র দূরীকরণে নারকেলের গুরুত্ব বোঝাতে ২০০৯ সালে ১০টি দেশকে নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছিল।

এমনকী স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষের কবিতা লিখেছিলেন, ছোটবেলা থেকেই নারকেল গাছ তাঁর সঙ্গী। পূর্বদিকে পাঁচিল ঘেঁষে ছিল বেশ কিছু নারকেল গাছ। শুধু নারকেল গাছ দেখাই নয়। নারকেলের বিভিন্ন পদও পছন্দ করতেন তিনি। নারকেল দিয়ে চিতল মাছ, নারকেল চিংড়ি, গরমমশলা ঘি নারকেল দিয়ে ছোলার ডাল, নারকেল দিয়ে কচু বাটা, নারকেল দিয়ে মুড়ি, নারকেল নাড়ু।
আরও পড়ুন : একটি স্ত্রী সাপকে নিয়ে দুই পুরুষ পাইথনের রোমহর্ষক লড়াই দেখে তাজ্জব সবাই
