Monday, August 25, 2025

পিএম কেয়ার্সে স্বচ্ছতা প্রমাণে উদ্যোগ, মোদির দানের খতিয়ান পিএমও-র

Date:

পিএম কেয়ার্স ফান্ড নিয়ে স্বচ্ছতা প্রমাণে উদ্যোগী পিএমও। খতিয়ান দিয়ে দেখানো হল তহবিলের পরিমাণ। একইসঙ্গে বেসরকারিভাবে জানানো হল নরেন্দ্র মোদির দান-খয়রাতের পরিমাণ। তহবিলে দাতাদের নাম নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক ছড়িয়েছে। সেই বিতর্কে জল ঢালতে পিএমও-র তরফে জানানো হয়েছে, নরেন্দ্র মোদির নিজের থেকে দেওয়া ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা দিয়ে শুরু হয় পিএম কেয়ার্স ফান্ড। পাশাপাশি, ‘নমামি গঙ্গে’ থেকে শুরু করে মেয়েদের লেখাপড়া সহ বিভিন্ন প্রকল্পে  প্রধানমন্ত্রীর দানের খতিয়ানও প্রকাশ করা হয়েছে। যা ১০৩ কোটিরও বেশি টাকা। সরকারি ভাবে তা প্রকাশ না করা হলেও, ‘প্রাইম মিনিস্টার্স সিটিজেন অ্যাসিস্টেন্স অ্যান্ড রিলিফ ইন ইমার্জেন্সি সিচুয়েশনস ফান্ড’ বা পিএম কেয়ার্স নিয়ে বিতর্কের মাঝেই এই খতিয়ান সামনে আনা কাকতালীয় ঘটনাকে ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ বলে মনে করছেন অনেকেই।

প্রধানত অতিমারিতে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তার জন্য গঠিত হলেও পিএম কেয়ার্স ফান্ড নিয়ে প্রথম থেকেই বিতর্ক রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থাকতে কেন ফের নতুন করে পিএম কেয়ার্সের মতে আরও একটি ফান্ড গঠন করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। তা ছাড়া, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে এর টাকা হস্তান্তর করা বা এই তহবিলের সমস্ত তথ্য প্রকাশের জন্য বিরোধীরা বরাবরই দাবি করে আসছে। প্রথম দাবিটি শীর্ষ আদালত খারিজ করে দিলেও পিএম কেয়ার্সের তথ্য প্রকাশ করা সংক্রান্ত মামলাটি এখনও বিচারাধীন। এই পরিস্থিতিতে বুধবার ২০১৯-২০ আর্থিক বর্ষে পিএম কেয়ার্স ফান্ডে জমা পড়া অর্থ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট। তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ২৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ- মাত্র পাঁচ দিনে ৩০৭৬ কোটি ৬২ হাজার টাকা জমা পড়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র এ দেশ থেকে সংগ্রহ হয়েছে ৩০৭৫ কোটি ৮৫ হাজার টাকা। এছাড়াও বিদেশ থেকে ওই তহবিলে জমা পড়়েছে ৩৯ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা। প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা এসেছে সুদ হিসাবে। তবে জমার খতিয়ান প্রকাশ করলেও, কারা এই তহবিলে অর্থদান করেছেন, তাঁদের নাম জানানো হয়নি।

বুধবার, এই তথ্য প্রকাশের পর কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম দাতাদের নাম প্রকাশ্যে আনার দাবি জানান। নাম প্রকাশ করতে কীসের ভয়? সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।

পিএমও সূত্রে পাওয়া নরেন্দ্র মোদির বিভিন্ন খাতে দানের খতিয়ান-

গত বছর কুম্ভমেলায় স্যানিটেশন কর্মীদের কল্যাণে গঠিত একটি তহবিলে ২১ লক্ষ টাকা।

দক্ষিণ কোরিয়ায় সোল শান্তি পুরস্কারের অর্থের ১ কোটি ৩ লক্ষ টাকাও গঙ্গায় বর্জ্য সাফাইয়ের কাজে দান।

বিভিন্ন স্মারক নিলাম করে আরও ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা গঙ্গাসাফাই অভিযানে দান।

২০১৫-তে গঙ্গাদূষণ মুক্তির প্রকল্প ‘নমামি গঙ্গে’-তে মোদির দেওয়া অর্থের পরিমাণ ৮ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা

গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী পদে কার্যকাল শেষ করার পর নিজের জমানো ২১ লক্ষ টাকাও ওই রাজ্যের কর্মচারীদের কন্যাসন্তানদের শিক্ষাখাতে দান করেছেন মোদি

মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পাওয়া সমস্ত পুরস্কার নিলাম করে ৮৬ কোটি ৯৬ হাজার টাকাও দান করেছেন শিশুকন্যাদের শিক্ষায় গঠিত একটি প্রকল্পে।

পিএম কেয়ার্স নিয়ে সরকারি ভাবে জবাব না দিলেও এই তথ্য দিয়েছে পিএমও।

আরও পড়ুন- ফিরে এলো ঐশীর স্মৃতি, JNU-তে ফের ABVP-এর বিরুদ্ধে ছাত্র নিগ্রহের অভিযোগ

Related articles

শ্রমশ্রী প্রকল্পে ভুয়ো আবেদন রুখতে কড়া নজরদারি রাজ্যের 

ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত শ্রমশ্রী প্রকল্পে প্রকৃত ও যোগ্য প্রার্থীরাই সুযোগ পান, তা নিশ্চিত করতে বিশেষ...

আদিবাসী উন্নয়ন আরও সুদূর প্রসারি করার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, সৌজন্য উড়িয়ে বৈঠকে অনুপস্থিত বিজেপি

আদিবাসী উন্নয়ন নয়, রাজনীতিই যে তাদের লক্ষ্য তা আরও একবার প্রমাণ করল বিজেপি (BJP)। আমন্ত্রণ পেয়েও সৌজন্যের জবাব...

DHFC-র হারের পরই ক্লাব থেকে কর্তাদের ছোট করার চেষ্টা, জবাব দিলেন মানস

ডুরান্ড কাপের(Durand Cup) ফাইনালে পৌঁছে সকলকে চমকে দিয়েছিল ডায়মন্ডহারবার এফসি(DHFC)। বাংলার ফুটবলকে যে দল নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে, তাদের...

আধারের অভাবে রেশন বঞ্চনা নয়, কড়া নির্দেশ খাদ্য দফতরের 

আধার কার্ড না–থাকা বা বায়োমেট্রিক যাচাই না–হওয়ার কারণে আর কোনও বৈধ রেশন গ্রাহককে খাদ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত...
Exit mobile version