ইস্টবেঙ্গলের নতুন মুখ কিংবদন্তি ফুটবলার! বিদেশি কোচ খোঁজাও শুরু কর্তাদের

লগ্নিকারী নিয়ে ইতিমধ্যেই সমস্যামুক্ত ইস্টবেঙ্গল। দুদিন আগেই নতুন লগ্নিকারীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে লাল-হলুদ কর্মকর্তারা। এবার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল আইএসএল খেলার । কোচ নির্বাচনে তাদের পাখির চোখ বিদেশি। এরই পাশাপাশি, দলের জার্সির রং এবং দলের নাম কি হবে তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে সমর্থকদের মধ্যে । তবে আশার কথা একটাই, শ্রী সিমেন্টের নিজস্ব কোনও দল বা জার্সি নেই। তাই ইস্টবেঙ্গলের নাম যেমন সহজেই অটুট থাকবে, তেমনই জার্সির ঐতিহাসিক লাল-হলুদ রংয়ে পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনাও কার্যত নেই।
আইএসএলের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ক্লাবেরই নামের সঙ্গে লগ্নিকারী সংস্থার নাম যোগ করা যায় না। তাই লগ্নিকারী সংস্থা ইতিমধ্যেই চিন্তাভাবনা শুরু করেছে কিভাবে নামকরণ এর মধ্যে ইস্টবেঙ্গলের ঐতিহ্যের ছোঁওয়াকে রক্ষা করা যায়। তবে এরই পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল যে কলকাতার ক্লাব, নামকরণের মধ্যে সেই ছোঁয়াও রাখতে চাইছে লগ্নিকারী সংস্থা। কিন্তু এত কম সময়ের মধ্যে আদৌ পুরো কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়েও কিছুটা সন্দিহান কর্মকর্তারা। যদিও টেন্ডার ডেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আইএসএল খেলার জন্য আবেদন জমা দিতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। সেক্ষেত্রে তাদের আইএসএলের দল হিসেবে নাম ঘোষণা দিন দুয়েকের মধ্যেই হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা।
অতিমারির জন্য এ বারের আইএসএল শুধু একটি শহরে, গোয়ায় হচ্ছে জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করে। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে সব দলকে গোয়ায় নিয়ে আসার কথা ভাবা হয়েছে। সেখানে করোনার নিয়মবিধি ও স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে নিভৃতবাসে থাকবেন ফুটবলাররা। কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এলে তবেই অনুশীলনের অনুমতি মিলবে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে অনুশীলনের সুযোগ মিলতে পারে । এমনই চিন্তাভাবনা করছে আইএসএল কর্তৃপক্ষ।নতুন কোম্পানি তৈরি করার প্রক্রিয়াও জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলে। নতুন যে বোর্ড গঠন করা হবে, সেখানে ক্লাবের তরফ থেকে দু’জনের বেশি থাকবেন না। বাকি সব কমিটি মিলিয়ে আরও দু’জন। সব কিছুতেই আশি শতাংশ প্রতিনিধিত্ব থাকছে লগ্নিকারী সংস্থার।  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন লগ্নিকারী সংস্থা ও লাল-হলুদের নতুন অভিযানে অ্যাডভাইসর হিসেবে যুক্ত হওয়া শ্রেণিক শেঠ। তিনি জানিয়েছেন, ইস্টবেঙ্গলের সব খেলারই স্বত্ব কিনেছে শ্রী সিমেন্ট। যদি আট জনের বোর্ড হয়, সেক্ষেত্রে সংস্থার পক্ষ থেকে থাকবেন ছ’জন। সেক্ষেত্রে ফুটবল বিশারদ রাখা হতে পারে চার জন। অন্য খেলা থেকে আরও দু’জন।
চার ফুটবল বিশেষজ্ঞের মধ্যে এক জন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কিংবদন্তিকে আনার কথাও ভাবা হচ্ছে। তাকেই নতুন ইস্টবেঙ্গলের নতুন মুখ করতে চাইছেন ক্লাব কর্তারা। আর্থিক চুক্তি করে তাঁকে ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’ হিসেবেও কাজে লাগানো ম হতে পারে। আইএসএলের কথা মাথায় রেখে বিদেশি কোচ খোঁজা শুরু হয়ে গিয়েছে।  সঙ্গে এক জন ভারতীয় কোচও নিয়োগ করা হবে। সবমিলিয়ে আইএসএল নিয়ে রীতিমতো সিরিয়াস লাল হলুদ শিবির ।

Previous articleমন কি বাত : এবার পোষ্য হোক দেশীয়
Next articleধান চাষে দেশে প্রথম বাংলা: সোজা বাংলায় জানালেন ডেরেক