বাড়ি তল্লাশির পর শৌভিক, স্যামুয়েলকে নিয়ে গেল এনসিবি

মাদকযোগে বাড়ি তল্লাশির পর অভিযুক্ত শৌভিক চক্রবর্তী ও স্যামুয়েল মিরান্ডাকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেলেন এনসিবি আধিকারিকরা। নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর অফিসে এখন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। মাদক পাচারের দায়ে ইতিমধ্যেই ধৃত ড্রাগ ডিলার ২০ বছরের জাইদ ভিলাত্রা ও মিডলম্যান ২৩ বছরের আবদুল বসিত পারিহার জানিয়েছে, তারা শৌভিক ও স্যামুয়েলকে নিষিদ্ধ ড্রাগ বিক্রি করেছে। এরপরই শৌভিক ও স্যামুয়েলের গতিবিধি এনসিবির আতস কাঁচের নীচে।

আরও পড়ুন : লাদাখ সমস্যা জিইয়ে রাখতে দায়ী চিন, স্পষ্ট জানাল ভারত

এদিকে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ তল্লাশি শুরু হয় সুশান্তকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তী ও তার ভাই শৌভিকের জুহু তারা রোডের বাড়িতে। মুম্বইয়ের জুহু তারা রোডের এই ফ্ল্যাটেই বাবা- মায়ের সঙ্গে থাকেন রিয়া, শৌভিক। এখানে তল্লাশি চালান নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর তদন্তকারী অফিসাররা। নিষিদ্ধ মাদক ব্যবহার নিয়ে রিয়া ও শৌভিকের বিরুদ্ধে একাধিক যোগসূত্র হাতে আসার পরই এই তল্লাশি শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে, এনসিবির আরেকটি টিম তল্লাশি চালায় সুশান্তের হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডার বাড়ি। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে চার মাদক পাচারকারী। এরমধ্যে দুজনের সঙ্গে শৌভিকের স্পষ্ট যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। ধৃত মাদক পাচারকারীরাও জানিয়েছে, মারজুয়ানা, কোকেন সহ একাধিক নিষিদ্ধ ড্রাগ তারা শৌভিক ও স্যামুয়েলকে সরবরাহ করেছে। আবার রিয়ার সঙ্গে গৌরব আরিয়া সহ একাধিক ব্যক্তির হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটেও মাদক সংক্রান্ত প্রশ্ন ও কথাবার্তা রয়েছে। সূত্রের খবর, সুশান্তর প্রাক্তন ম্যানেজার শ্রুতি মোদি তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, সুশান্ত, রিয়া দুজনেই নিয়মিত নিষিদ্ধ মাদক ব্যবহার করতেন। বলিউডের প্রভাবশালী বৃত্তেও আকছারই মাদক ব্যবহার হয়। রিয়া নিজে একাধিক সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছিলেন যে তিনি কোনও নিষিদ্ধ ড্রাগ কোনওদিন ব্যবহার করেননি। প্রয়োজনে পরীক্ষা দিতেও রাজি বলে জানিয়েছিলেন সুশান্তের বান্ধবী। কিন্তু তদন্তকারীদের অনুমান, রিয়া নিজেও মাদক ব্যবহার করতেন। অন্তত এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ সেদিকেই ইঙ্গিত করছে।

এদিন তল্লাশির বিষয়ে এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর কেপিএস মালহোত্রা বলেন, এটা পদ্ধতিগত বিষয়। এই তল্লাশি তদন্ত প্রক্রিয়ারই অংশ। এনডিপিএস আইনে তল্লাশি চলছে। এরপর, নিষিদ্ধ মাদক ব্যবহারের অভিযোগে আর কে গ্রেফতার হয় এবং নতুন করে অভিযোগ পাওয়ার পর বলিউডের প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে এই আইনে তদন্ত বা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয় কিনা এখন তাই দেখার। ইতিমধ্যেই বলিউডের নামী সুপারস্টারদের ডোপ টেস্টের দাবি তুলেছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত।

আরও পড়ুন : SBI-সহ ৪ ব্যাঙ্ক রেখে বাকি সব বিক্রি করছে কেন্দ্র

Previous articleজটিল হচ্ছে মেট্রো-যাত্রা, লাগবে ই-বোর্ডিং পাস
Next articleজঙ্গিদের সঙ্গে এনকাউন্টার চলছে ভোর থেকে, অশান্ত বারামুল্লা