জটিল হচ্ছে মেট্রো-যাত্রা, লাগবে ই-বোর্ডিং পাস

এবার থেকে যখন খুশি মেট্রোর যাত্রী হওয়া আর সম্ভব হবে না৷ সফরের সময় বাছতে হবে অনেক আগে। সম্ভব হলে আগের দিন।

জটিল হচ্ছে মেট্রো-সফর৷

এবার থেকে যখন খুশি মেট্রোর যাত্রী হওয়া আর সম্ভব হবে না৷ সফরের সময় বাছতে হবে অনেক আগে। সম্ভব হলে আগের দিন।
স্মার্ট কার্ড থাকলেই যে কলকাতা মেট্রোর সওয়ারি হওয়া যাবে এমনও নয়৷ ভিড় এড়াতে মেট্রোয় বিমানবন্দরের মতো ই-বোর্ডিং পাস চালু হতে পারে৷

আরও পড়ুন : আজ বিজেপির গণতন্ত্র বাঁচাও দিবস ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছে

নবান্ন সূত্রের খবর, এই ই-বোর্ডিং পাস পেতে হলে স্মার্টফোনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে৷ সেখানে জানাতে হবে যাত্রীর নাম, কোন সময়ে কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশনে তিনি যেতে চান৷ তা জানতে চাওয়া হবে। ওই সময়ে মেট্রোর যাত্রী-সংখ্যা নির্ধারিত সীমার তলায় থাকলে সেই যাত্রীকে ২ ঘণ্টার জন্য পাস দেওয়া হতে পারে। পাস মানে একটি QR কোড, যা দেখে স্টেশনে ঢোকার ছাড়পত্র দেবেন মেট্রোর রক্ষীরা। পাস না মিললে যাত্রীকে মেট্রো স্টেশনে ঢুকতেই দেওয়া হবে না। পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ওই নিয়মে কিছুটা ছাড় দেওয়া হতে পারে বলে খবর।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ফের পরিষেবা ফের চালু হলে এ বার স্মার্ট কার্ড পাঞ্চ করে মেট্রো স্টেশনে ঢোকা যাবে না। আলোচনা চলছে, বিমানবন্দরের মতো কোনও অ্যাপের মাধ্যমে যাত্রার সময় আগাম জানিয়ে পাস বুক করতে হবে। ওই সময়ের জন্য সবুজ সঙ্কেত মিললে, তবেই মেট্রোর যাত্রী হওয়া যাবে৷ ওই একই সময়ে পরিষেবা ব্যবহারের ছাড়পত্র দেওয়া যাত্রীর সংখ্যার উপরেই নির্ভর করবে অনুমতি পাওয়ার বিষয়টি৷ নির্দিষ্ট সংখ্যা অতিক্রম করে গেলে অন্য সময় বেছে নিতে হবে৷ বৃহস্পতিবার নবান্নে রাজ্য-মেট্রো বৈঠকে এমনই প্রস্তাব নিয়েই আলোচনা হয়েছে। তবে ওই বৈঠকে মেট্রোর ভিড় এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়নি। আজ, শুক্রবার মেট্রো ভবনে ফের দু’পক্ষের বৈঠক হবে।

মেট্রো কর্তৃপক্ষ আগে ঘোষণা করেছিলো,
ভিড় নিয়ন্ত্রণে শুধুমাত্র স্মার্ট কার্ড থাকা যাত্রীরাই মেট্রোয় উঠতে পারবেন৷ পরে দেখা যায়, স্মার্ট কার্ডের যাত্রীর সংখ্যাও কম নয়। স্বাভাবিক দিনে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ যাত্রী স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করতেন। লকডাউন শুরুর আগে গত ২০ মার্চও সংখ্যাটা ছিল ২.১৯ লক্ষ। ফলে নতুন ভাবনা শুরু হয়েছে৷ সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছে, সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে ট্রেন চালাতে হলে একটি ৮ কামরার ট্রেনে সর্বাধিক ২০০ জন যাত্রী বসে যেতে পারবেন। কিছু যাত্রী দাঁড়িয়ে গেলেও ট্রেন-পিছু ওই সংখ্যাটা ৪৫০-৫০০-র বেশি হচ্ছেনা৷ দিনে ৯০-১০০টি ট্রেন চালানো হলেও সব মিলিয়ে যাত্রী সংখ্যা ৪৫-৫০ হাজারের বেশি সম্ভব নয়। ফলে কী ভাবে যাত্রী-সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তার উপায় খুঁজতে গিয়েই ই-বোর্ডিং পাস চালুর কথা বিবেচনায় এসেছে৷

আরও পড়ুন : মহামারিতে রাজ্যে সুস্থতার হার ৮৪.০২ শতাংশ

Previous articleSBI-সহ ৪ ব্যাঙ্ক রেখে বাকি সব বিক্রি করছে কেন্দ্র
Next articleবাড়ি তল্লাশির পর শৌভিক, স্যামুয়েলকে নিয়ে গেল এনসিবি