১৯৮৪ সালের শিখ বিরোধী দাঙ্গায় সাজাপ্রাপ্ত প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারের জামিনের আর্জি শুক্রবার খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

এদিন শীর্ষ আদালতে সজ্জন কুমারের তরফে সওয়ালে আইনজীবী বিকাশ সিং বলেন, গত ২০ মাস ধরে বন্দি আছেন ৭৪ বছরের সজ্জন কুমার। বার্ধক্যজনিত কারণে এবং অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতায় তাঁর ১৬ কেজি ওজন কমে গিয়েছে৷ এখনই হাসপাতালে রেখে
তাঁর উন্নত চিকিৎসা দরকার৷ দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তদের তরফে এদিন আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী এইচ এস ফুলকা৷ তিনি সজ্জন কুমারের জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, হাসপাতালে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পেয়ে গিয়েছেন তিনি।

সওয়াল শেষে প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে বলেছেন, “এটা কোনও ছোট মাপের মামলা নয়। এখনই আবেদনকারীর জামিন মঞ্জুর করা সম্ভব নয়। এই আর্জি খারিজ করা হলো।’’ পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি বলেন,
“নথিতে দেখা যাচ্ছে সজ্জন কুমারের ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট স্বাভাবিক। তাঁকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করাতে হবে, এমন কথা কোথাও বলা নেই। ফলে আর তাঁর হাসপাতালে থাকারও প্রয়োজন নেই ।”

প্রসঙ্গত, ১৯৮৪-র শিখ-বিরোধী দাঙ্গায় দিল্লির রাজনগরে একই পরিবারের ৫ জনের খুনের ঘটনায় সজ্জন কুমারের নামে অভিযোগ দায়ের হয়৷ সেইসময় সজ্জন কুমার ছিলেন রাজনগরের সাংসদ । ১ নভেম্বর ওই এলাকার এক গুরুদ্বারে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাতেও তাঁর নাম জড়ায়। ২০১৩ সালে নিম্ন আদালতে রেহাই পান তিনি৷ কিন্তু ২০১৮ সালে দিল্লি হাইকোর্ট তাঁকে যাবজ্জীবন কারাবাসের শাস্তি দেয়৷ এই শাস্তির পর থেকেই বন্দি আছেন সজ্জন কুমার৷ তবে দিল্লি হাইকোর্টের ওই রায়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতে মামলা করেছেন তিনি৷ কিন্তু মহামারি পরিস্থিতিতে আদালতের কাজকর্ম বন্ধ থাকায় ওই আর্জির এখনও শুনানি হয়নি। এদিন শীর্ষ আদালত বলেছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এই আর্জির শুনানি হবে৷
আরও পড়ুন : BREAKING : NEET-JEE পরীক্ষা স্থগিতের ৬ রাজ্যের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
