“গণতন্ত্র বাঁচাও” কর্মসূচি থেকে হুঙ্কার দিলীপের! কী বললেন তিনি?

ফের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে খুঁজে পাওয়া গেলো বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। আজ, শুক্রবার মেয় রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিজেপির “গণতন্ত্র বাঁচাও” কর্মসূচি থেকে কার্যত হুঙ্কার ছাড়লেন দিলীপ ঘোষ।

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে রাজ্যজুড়ে “গণতন্ত্র বাঁচাও” নামের যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, তা রাজনৈতিকভাবে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এদিন মঞ্চ থেকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্দেশে হুঙ্কার ছেড়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেন, “আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে যেভাবেই ভোট হোক তৃণমূলকে হারাব। ইভিএমেও হারাব। ব্যালটেও হারাব।”

কলকাতার পাশাপাশি জেলায় জেলায় বিভিন্ন জায়গায় চলছে বিজেপির ধর্ণা। সেখানে হাজির আছেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। রাজ্যের অনেক জায়গায় পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্না মঞ্চ গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন বিজেপি।সবমিলিয়ে একুশের বিধানসভা ভোটকে মাথায় রেখে উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছে। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের মতোই প্রধান বিরোধী শক্তি হিসেবে উঠে আসা বিজেপিও রাজ্যজুড়ে একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে।

মেয় রোডে এদিন বিজেপির এই গণতন্ত্র বাঁচাও কর্মসূচিতে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও ছাড়াও অংশ নিয়েছিলেন, রাহুল সিনহা-মুকুল রায়-কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের মত শীর্ষ নেতৃত্ব।

এদিন দিলীপ ঘোষ হুঙ্কার ছেড়ে বলেন, ” করোনা মহামারি আবহের মধ্যে আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি। তৃণমূল আমাদের আন্দোলনে ভয় পেয়ে গিয়েছে। রাজ্যের বহু জায়গায় আমাদের ধর্ণা মঞ্চ ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে আমাদের নেতা-কর্মীদের। তৃণমূলের গুন্ডারাও পুলিশের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। রাজ্যে কোনওরকম কোনও গণতন্ত্র নেই। বিরোধীদের গলা টিপে ধরা হচ্ছে। তৃণমূল বুঝে গিয়েছে একুশের নির্বাচনে তারা হেরে যাবে। তাই ভয় পাচ্ছে। ভয়ে নির্বাচন করছে না। গত এক বছর ধরে কেন কোনও নির্বাচন হয়নি? কেন ইভিএম-এ ভোটের বিরুদ্ধে তৃণমূল আন্দোলন করছে তৃণমূল?”

আরও পড়ুন : ধান চাষে দেশে প্রথম বাংলা: সোজা বাংলায় জানালেন ডেরেক

Previous articleসীমান্ত সমস্যা নিয়ে আজ মস্কোয় মুখোমুখি দু’দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
Next articleBREAKING: আইপিএল খেলবেন না হরভজন সিং