পাঁচ ভারতীয় নাগরিককে চিনা সেনা অপহরণ করেছে বলে সকাল থেকেই উত্তেজনা অরুণাচল প্রদেশে। সরকারি ভাবে বিষয়টি স্বীকার করা না হলেও তদন্তের জন্য ভারত-চিন সীমান্তের সুবনসিরি জেলায় তদন্তকারী দল পাঠাল পুলিশ।শনিবারই প্রত্যন্ত এলাকায় পুলিশের দল রওনা হয়ে গিয়েছে। তবে খারাপ রাস্তা ও দূরত্বের জন্য তদন্তের রিপোর্ট আসতে সময় লাগবে বলেই জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন : বড় সাফল্য ভারতীয় সেনার, প্যাংগংয়ে ফিঙ্গার ফোর ফের দখল
অরুণাচল প্রদেশের একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে শনিবার সকালে তাজিন সম্প্রদায়ের পাঁচ যুবককে অপহরণ করে নিয়ে যায় চিনা লাল সেনা।ওই cccccতদন্তকারীরা প্রত্যন্ত গ্রামটির উদ্দেশে রওনা হলেও রবিবারের আগে খবর পাওয়ার কোনও উপায় নেই। কারণ, গ্রাম অনেক দূরতো বটেই, দুর্গমও। দীর্ঘ পথ হেঁটেই যেতে হবে তদন্তকারীদের।আপার সুবনসিরির পুলিশ সুপার তারু গুসার জানান সংবাদ মাধ্যম ও সোশ্যল মিডিয়া থেকে তাঁরা এরকম খবর পয়েছেন। পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।নাচো থানার এক পুলিশ আধিকারিককে তাই সেখানে পাঠানো হয়েছে সত্যিটা জানতে।তাঁরাই গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলবেন।
সূত্রের খবর, শনিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ যখন ওই গ্রাম্য যুবকরা সেরা-৭ এলাকার জঙ্গলে কাঠ, পাতা সংগ্রহে গিয়েছিল। জায়গাটি ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে। সেখান থেকেই তাঁদের অপহরণ করা হয়। সেখানে আরও দু’জন গ্রামবাসী ছিলেন। তাঁরা কোনওরকমে পালিয়ে এসে গ্রামে খবর দেন।
ভারতীয় সেনা বিষয়টি নিয়ে কোনও বিবৃতি না দিলেও, এ ব্যাপারে সোশ্যাল সাইটে একটি পোস্ট করেছেন প্রকাশ রিংলিং। তাঁর দাবি তাঁর ভাই প্রকাশকে অপহরণ করা হয়েছে।কংগ্রেস বিধায়ক নিনং এরিং-ও অপহরণের অভিযোগ তুলেছেন।বিজেপি নেতা পূর্ব অরুণাচলের সাংসদ তাপির গাও টুইট করেছেন পাঁচ যুবককে অপহরণ করা হয়েছে বলে।
সূত্রের খবর, মার্চের ১৯ তারিখে অরুণাচলের এক যুবক তোংলে সিংকমকে চিনা ফৌজ অপহরণ করেছিল। যদিও পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। চিন সে সময় বলেছিল ওই ব্যক্তি সীমান্ত পেরিয়ে চলে এসেছিল।