ভেজাল তেলের “গন্ধ” পেয়ে অর্জুন সিংয়ের পেট্রোল পাম্পে আচমকা হানা ইবি’র

ফের বিপাকে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। এবার ভেজাল তেলের “গন্ধ” পেয়ে তাঁর পেট্রোল পাম্পে যৌথ হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ (ইবি) ও রাজ্য গোয়েন্দা দফতরের আধিকারিকরা। আজ, শনিবার উত্তর ২৪ পরগণার শ্যামনগরের রাউতাড়ায় অর্জুন সিংয়ের পেট্রোল পাম্পে হানা দেয় বিশালবাহিনী। যেখানে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ও ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের দুঁদে গোয়েন্দারা ছিলেন এই তল্লাশি টিমের নেতৃত্বে।

মূলত, বিজেপি সাংসদের পাম্পের পেট্রোল-ডিজেলে কোনও ভেজাল মেশানো আছে কিনা বা পাম্পের কাগজপত্র সঠিক কিনা তা তদন্তকারী আধিকারিকরা খতিয়ে দেখেন। একইসঙ্গে পরীক্ষা করার জন্য পেট্রোল-ডিজেলেরর নমুনাও এদিন সংগ্রহ করা হয় অর্জুন সিংয়ের এই পাম্প থেকে। যা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে প্রবল আলোড়ন তৈরি হয়েছে।

এই প্রথম নয়। সম্প্রতি অর্জুন সিংয়ের ঘাঁটিতে তল্লাশি করেছে রাজ্য পুলিশ। অভিযোগ ছিল, পুরসভা ও সমবায় ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারির তছরূপের পাণ্ডা অর্জুন সিং।

সম্প্রতি আরও একটি ঘটনায় শিরিনামে এসেছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‌বিতর্কিত ছবি পোস্ট করে পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টার অভিযোগে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় এফআইআর দায়ের করেছে বহরমপুর থানা।

অর্জুন সিংয়ের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে কালীপ্রতিমা পুড়িয়ে দেওয়ার কিছু ছবি পোস্ট করা হয়। উস্কানিমূলক ভাষায় টুইটে লেখা হয়, “দিদির জিহাদি প্রকৃতির রাজনীতি এখন হিন্দু ধর্ম ও সংস্কৃতি ধ্বংস করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেখুন মুর্শিদাবাদে কীভাবে মন্দিরের ওপর হামলা চালিয়ে কালীপ্রতিমা পুড়িয়ে দিয়েছে বিশেষ একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের লোকজন।”

এর পরই এই অভিযোগ ভিত্তিহীন জানিয়ে পাল্টা টুইট করে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশ। সেই টুইটে জানানো হয়, “এই পোস্ট বা দাবি বিভ্রান্তিকর। এর বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিভ্রান্তিকর এবং উস্কানিমূলক এই পোস্ট এড়িয়ে চলুন।” এমনকী মুর্শিদাবাদের নওদার ‌ওই কালীমন্দির কমিটির পক্ষ থেকে একটি চিঠি প্রকাশ করে জানানো হয়, ৩১ অগস্ট রাতে ওই মন্দিরের কালীপ্রতিমায় আগুন লেগেছিল। তবে কোনও চুরির ঘটনা ঘটেনি। এটা একটা দুর্ঘটনাও হতে পারে। এই ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রূপ দিয়ে পরিবেশ অশান্ত না করারও আবেদন জানানো হয়।

কিন্তু এতকিছুর পরও এ ব্যাপারে ভ্রুক্ষেপ করেননি সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে এখনও রয়েছে সেই বিতর্কিত ছবি দেওয়া টুইট। তাঁর বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থানায় ৫০১, ৫০৪, ৫০৫(‌২)‌, ২৯৫এ, ৩৪ — এই ধারায় এফআইআর করা হলেও তাতে তাঁর বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই বলে জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন- বিদ্রোহের ভয়ে সুশান্ত ঘোষের শাস্তির খবর নেই দলীয় মুখপত্রে, কণাদ দাশগুপ্তর কলম

Previous articleবিদ্রোহের ভয়ে সুশান্ত ঘোষের শাস্তির খবর নেই দলীয় মুখপত্রে, কণাদ দাশগুপ্তর কলম
Next article‘শরৎ বসুর স্বপ্ন’: জাতীয় বাংলা সম্মেলনের ‘বাংলা বেতার’-এ শ্রোতারা জানবেন এক অজানা ইতিহাস!