ইবি-র অভিযানই সার, রাজ্যে আলুর দম চড়ছেই

ইবি-র অভিযানই সার৷ ক্রেতাদের বক্তব্য, এসব অভিযান লোক দেখানো ৷

রাজ্য সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম’কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চড়াদরেই বিক্রি হচ্ছে আলু৷

আরও পড়ুনঃআলুর অস্বাভাবিক দামবৃদ্ধি ইস্যুতে নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক

পাইকারি বা খুচরো, রাজ্যের কোনও বাজারেই
আলুর দাম কমেনি৷ কলকাতার খুচরো বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৪-৩৫ টাকা কেজি দরে৷ অথচ রাজ্য সরকার গত সপ্তাহে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ও হিমঘর মালিকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নবান্নের বৈঠকে বলেছিলো, হিমঘর থেকে বের হওয়ার পর আলুর দাম ২২ টাকায় নামিয়ে আনতে হবে৷ সরকার জানায়, ২২ টাকায় আলু বের করলেও ভালো লাভ থাকছে। কারণ এবার ১১-১৩ টাকায় কেনা আলু হিমঘরে ঢুকেছিল। হিমঘরের ভাড়া ও অন্যান্য খাতে সব মিলিয়ে খরচ পড়ছে ৫ টাকার মতো।
সরকারের এই নির্দেশ পাত্তাই দিচ্ছেন না পাইকারি বা খুচরো আলু ব্যবসায়ীরা৷ সরকারের এই লাভের হিসেব মানতে রাজি নন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের বক্তব্য, আলুর দাম কী হবে, সেটা বাজারের চাহিদা-জোগানের ভিত্তিতে ঠিক হবে। ফলে সরকারি ব্যর্থতায় চড়া দামেই আলু কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের৷ আলু ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় অনেক কম পরিমাণ আলু এবার হিমঘরে রাখা হয়েছিল। হিমঘর থেকে আলু বের করার হার এবার বেশি। কারণ বাজারে চাহিদা বেশি। সরকারি হিসাব, রাজ্যের হিমঘরগুলিতে এখনও প্রায় ২৯ লক্ষ টন আলু রয়েছে, যা আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের চাহিদা মেটানোর পক্ষে যথেষ্ট। এই অবস্থায় ভিন রাজ্যে কী পরিমাণ আলু আগামী দিনে যাবে, তার উপর আলুর দাম নির্ভর করবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতিবেশী কয়েকটি রাজ্য, বিহার, অসম, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশায় আলুর ফলন কম। ফলে রাজ্য থেকে ওইসব রাজ্যে আলু সরবরাহ করা হয়। ভিন রাজ্যে পাঠালে লাভ বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এতেই উৎসাহী। সরকারের পক্ষেও সরাসরি ভিন রাজ্যে আলু পাঠানো বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে রাজ্য আলুর দাম রোজই চড়া হচ্ছে৷

আরও পড়ুনঃ২৫ টাকা আলুর দাম বেঁধে দেবে সরকার! লকডাউনের আগে যা ছিল ১৫টাকা!

 

Previous articleকরোনা-যোদ্ধা ও সফল পড়ুয়াদের সম্মান প্রদর্শন কাঁকুড়গাছিতে
Next article২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে আলোচনা করুন, রাজ্যগুলিকে বার্তা মোদির