বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ ও ধর্মান্তরকরণ, আদালতের দ্বারস্থ তরুণী

চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়

চোখে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে বসতে চেয়েছিলেন বিয়ের পিঁড়িতে। মনে মনে গড়ে তুলেছিলেন এক সুখী দাম্পত্যের স্বপ্ন। কিন্তু সেই বিয়ের স্বপ্ন যে এভাবে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে তা স্বপ্নেও ভাবেননি মেয়েটি। হ্যাঁ,
বিয়ের নামে রীতিমতো ধর্ষিত হতে হয়েছে এক তরুণীকে। শুধুমাত্র তাই নয়, বিয়ে করার জন্য ওই তরুণী ত্যাগ করেছেন নিজের ধর্ম। এমনই একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে বাংলাদেশে। ঢাকার পার্শ্ববর্তী শিল্পনগরী গাজীপুরে এভাবেই প্রতারিত হয়েছেন এক তরুণী।বিচার চেয়ে তিনি আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন।
আদালতে তিনি অভিযোগ করেছেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক শ্রমিক তাকে ধর্মান্তরিত করে । এরপরই তার আসল রূপ বেরিয়ে পড়ে। বিয়েটা ছিল অজুহাত । তরুণীকে ধর্ষণের পর মারধর করার অভিযোগও উঠেছে।
গাজীপুরের শ্রীপুর থানার ওসি খন্দকার ইমাম হাসান জানিয়েছেন, শরিফ আহমেদ (৩০) নামে এক ব্যক্তি ও তার আত্মীয়দের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন এক তরুণী। শ্রীপুরের নগরহাওলা গ্রামের বাসিন্দা শরিফের বাবা রিয়াজউদ্দিন।
নির্যাতিত তরুণীর (১৯) বয়ান অনুযায়ী , তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বী ছিলেন। একই কারখানায় শরিফের সঙ্গে তিনি চাকরি করতেন। বছর খানেক আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শরিফের কথায় বিশ্বাস করে তিনি বিয়ের ফাঁদে পা দেন। শরিফের তাকে ধর্ষণ করেন এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করান। কিন্তু পরে শরিফ বিয়ে করতে অস্বীকার করেন।
তার আরও অভিযোগ, তিনি শরিফের বাড়ি গিয়ে বিয়ের জন্য জোরাজুরি করলে শরিফ, তার ভাই তরিকুল, বাবা রিয়াজ উদ্দিন ও মা শিরিনা আক্তার তাকে বেধড়ক মারধর করেন। স্থানীয়দের সাহায্যে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ওই তরুণীর প্রাথমিক চিকিৎসা হয়েছে ।
এমনকি সনাতন ধর্ম ত্যাগ করায় পরিবারের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। শরিফের পরিবারের তরফে অভিযোগ উঠিয়ে নেওয়ার জন্য ভয় দেখানো এবং হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে তরুণী অভিযোগ করেছেন । আপাতত বেপাত্তা শরিফ ও তার পরিবারের সদস্যরা । অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে ।

Previous articleলাদাখ নিয়ে কথা হতে পারে ভারত -চিন বিদেশমন্ত্রীর
Next articleযাদবপুরের ফ্ল্যাট থেকে উঠতি মডেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার! হত্যা নাকি আত্মহত্যা?