Friday, November 14, 2025

একজন রাজনীতিবিদ স্থায়ী লকডাউনে রয়েছেন, অথচ কারুর কিছু এসে যাচ্ছে না, এ বড় কঠিন বিষয়।

ফলে যে কোনোভাবে গুরুত্ব বোঝানোর মরিয়া চেষ্টা ছাড়া উপায় কী!!

ফলে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের শিবিরসূত্রে ভাসানো খবর, বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে তাঁকে ভার্চুয়ালি থাকতে বলা হয়েছে।
আবার টিকা সংযোগ, কিন্তু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন না তিনি যোগ দিন, কারণ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নাকি বৈশাখীর কর্মস্থলের জটিলতা কাটাতে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

তাহলে দাঁড়ালো কী?
কিছুই না।
যা ছিল তাই।
অরবিন্দ মেনন এলেই শোভনশিবির এখন প্রায় নরেন্দ্র মোদির পদার্পণ ভেবে ফেলছেন।
বিজেপি এই বড় পদে বসালো বলে!
সামনে ভোট। বিজেপিকে তো কিছু দিতেই হবে।
কিন্তু পদ্মাসনে বসতে গিয়ে শবাসনে থাকার পর্ব শেষ কবে?
এদিকে রত্না চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে শোভনকে ধুয়ে দিয়েছেন। স্ত্রীকে আটকাতে শোভনকে এখন মিডিয়ামালিককে ফোন করতে হচ্ছে বলে গুঞ্জন!! রাজ্যস্তরের নেতা আর কাকে বলে!!!!

এদিকে তৃণমূলে ফেরার পথে কড়া শর্ত, আগে দলে ফেরো। তারপর কথা।

বিজেপি বলছে, শোভন আসুন, সঙ্গে বৈশাখী দলের যত্রতত্র যেতে পারবেন না। তাঁর কাজ আলাদা নির্দিষ্ট থাকবে।

সূত্র বলছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে একাধিক পদ পেয়েছিলেন শোভন। কিন্তু তার পিছনে নিজের পারফরমেন্স ছিল না আজ প্রমাণিত। যে গুরুত্বহীনতার রসিকতায় মমতা ধাক্কা মেরে তৎকালীন মেয়রকে জলে ফেলে দিয়েছেন, আজও শোভন অথৈ জলেই। কে কথা বলল আর কে ডাকল, তা প্রমাণ করতে মরিয়া চেষ্টা।

বিজেপি এখন বড় পদ দিতেই পারে। কারণ তাদের দরকার যেকোনো ধরণের পরিচিত নামকে মঞ্চে রাখা। শোভন মিডিয়ায় এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন,” কিছু আলোচনা বাকি আছে।”

কত বড় হাস্যকর!
আলোচনা ছাড়াই দলবদল!
যে দল ছাড়ছেন, সেখানেও আলোচনা বাকি।
যে দলে নাম লেখালেন, সেখানেও আলোচনা বাকি।
সার্কাসের নির্দিষ্ট পদ ছাড়া এত হাসির জোগান পাওয়া মুশকিল। কই, বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত তো এমন বিচিত্র ঝুলন্ত অবস্থায় নেই।

আসলে শোভন কী করবেন আর শোভন কোন্ দিকে যাবেন, এবিষয়ে শোভনশিবির ছাড়া আর কারুর কোনো আগ্রহ নেই।
তৃণমূলের অবস্থান: পুরনো মুখ। ফিরলে ভালো। কিন্তু শর্তের বাড়াবাড়ি নয়।
বিজেপির অবস্থান: ভোটের মুখে ললিলপ দিয়ে রেখে দেওয়াই ভালো। তারপর দেখা যাবে।

এই ধারাবাহিক কুনাট্যে শোভনরা শুধু ” যেতে পারি কিন্তু কেন যাব” আউড়ে চলেছেন।
বিজেপির মঞ্চেই একটু নড়াচড়া নাকি তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন, এই সিদ্ধান্ত নিতেই তথাকথিত রাজ্য নেতার দমবন্ধ অবস্থা।

আরও পড়ুন – শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ করা হচ্ছে, জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে আপত্তি শিক্ষামন্ত্রীর

 

Related articles

সরকারি হাসপাতালে নাবালিকা রোগীর শ্লীলতাহানি! গ্রেফতার RG Kar আন্দোলনের ‘বিপ্লবী’ ডাক্তার

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাতে সরকারি হাসপাতালে নাবালিকা রোগীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে। ঘটনায় গ্রেফতার বারাসাত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের...

আন্দুল রোডে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড! ভস্মীভূত দুই স্পঞ্জ কারখানা 

রাতের হাওড়ায় ভয়াবহ আগুনে কার্যত ছারখার হয়ে গেল আন্দুল রোডের পাশে হাঁসখালি পোল এলাকার দুটি স্পঞ্জ তৈরির কারখানা।...

সোনারপুরে শুরু হচ্ছে প্রবীণদের জন্য বিনামূল্যে নিউমোনিয়া ও ফ্লু টিকাকরণ কর্মসূচি

শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই নিউমোনিয়ার সংক্রমণ বাড়ছে রাজ্যজুড়ে। বিশেষ করে প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই রোগ অনেক সময় প্রাণঘাতী...

প্রকাশিত হল আইসিএসই এবং আইএসসি পরীক্ষার সময়সূচি

প্রকাশিত হল আগামী বছরের দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির আইসিএসই এবং আইএসসি পরীক্ষার সময়সূচি। কাউন্সিলের তরফে এদিন বিজ্ঞপ্তি জারি...
Exit mobile version