Thursday, November 13, 2025

একজন রাজনীতিবিদ স্থায়ী লকডাউনে রয়েছেন, অথচ কারুর কিছু এসে যাচ্ছে না, এ বড় কঠিন বিষয়।

ফলে যে কোনোভাবে গুরুত্ব বোঝানোর মরিয়া চেষ্টা ছাড়া উপায় কী!!

ফলে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের শিবিরসূত্রে ভাসানো খবর, বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে তাঁকে ভার্চুয়ালি থাকতে বলা হয়েছে।
আবার টিকা সংযোগ, কিন্তু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন না তিনি যোগ দিন, কারণ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নাকি বৈশাখীর কর্মস্থলের জটিলতা কাটাতে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

তাহলে দাঁড়ালো কী?
কিছুই না।
যা ছিল তাই।
অরবিন্দ মেনন এলেই শোভনশিবির এখন প্রায় নরেন্দ্র মোদির পদার্পণ ভেবে ফেলছেন।
বিজেপি এই বড় পদে বসালো বলে!
সামনে ভোট। বিজেপিকে তো কিছু দিতেই হবে।
কিন্তু পদ্মাসনে বসতে গিয়ে শবাসনে থাকার পর্ব শেষ কবে?
এদিকে রত্না চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে শোভনকে ধুয়ে দিয়েছেন। স্ত্রীকে আটকাতে শোভনকে এখন মিডিয়ামালিককে ফোন করতে হচ্ছে বলে গুঞ্জন!! রাজ্যস্তরের নেতা আর কাকে বলে!!!!

এদিকে তৃণমূলে ফেরার পথে কড়া শর্ত, আগে দলে ফেরো। তারপর কথা।

বিজেপি বলছে, শোভন আসুন, সঙ্গে বৈশাখী দলের যত্রতত্র যেতে পারবেন না। তাঁর কাজ আলাদা নির্দিষ্ট থাকবে।

সূত্র বলছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে একাধিক পদ পেয়েছিলেন শোভন। কিন্তু তার পিছনে নিজের পারফরমেন্স ছিল না আজ প্রমাণিত। যে গুরুত্বহীনতার রসিকতায় মমতা ধাক্কা মেরে তৎকালীন মেয়রকে জলে ফেলে দিয়েছেন, আজও শোভন অথৈ জলেই। কে কথা বলল আর কে ডাকল, তা প্রমাণ করতে মরিয়া চেষ্টা।

বিজেপি এখন বড় পদ দিতেই পারে। কারণ তাদের দরকার যেকোনো ধরণের পরিচিত নামকে মঞ্চে রাখা। শোভন মিডিয়ায় এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন,” কিছু আলোচনা বাকি আছে।”

কত বড় হাস্যকর!
আলোচনা ছাড়াই দলবদল!
যে দল ছাড়ছেন, সেখানেও আলোচনা বাকি।
যে দলে নাম লেখালেন, সেখানেও আলোচনা বাকি।
সার্কাসের নির্দিষ্ট পদ ছাড়া এত হাসির জোগান পাওয়া মুশকিল। কই, বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত তো এমন বিচিত্র ঝুলন্ত অবস্থায় নেই।

আসলে শোভন কী করবেন আর শোভন কোন্ দিকে যাবেন, এবিষয়ে শোভনশিবির ছাড়া আর কারুর কোনো আগ্রহ নেই।
তৃণমূলের অবস্থান: পুরনো মুখ। ফিরলে ভালো। কিন্তু শর্তের বাড়াবাড়ি নয়।
বিজেপির অবস্থান: ভোটের মুখে ললিলপ দিয়ে রেখে দেওয়াই ভালো। তারপর দেখা যাবে।

এই ধারাবাহিক কুনাট্যে শোভনরা শুধু ” যেতে পারি কিন্তু কেন যাব” আউড়ে চলেছেন।
বিজেপির মঞ্চেই একটু নড়াচড়া নাকি তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন, এই সিদ্ধান্ত নিতেই তথাকথিত রাজ্য নেতার দমবন্ধ অবস্থা।

আরও পড়ুন – শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ করা হচ্ছে, জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে আপত্তি শিক্ষামন্ত্রীর

 

Related articles

জিতলেও বিজয় মিছিল নয়! বিহার নির্বাচনের ফলাফলের আগে কমিশনকে টানতে হল লাগাম

নির্বাচন প্রক্রিয়া জুড়ে অশান্তি বারবার মাথাচাড়া দিয়েছে নীতীশ কুমারের বিহারে। বারবার আক্রান্ত হয়েছে বিরোধী দলের নেতা-কর্মী এমনকি প্রার্থীরাও।...

KIFF: এক সপ্তাহের ফিল্মোৎসবের আজ সমাপ্তি, সিনে দশমীতে চলচ্চিত্র প্রাঙ্গণে শিল্পী সম্বর্ধনা

সংস্কৃতির শহর কলকাতার আনাচে-কানাচে সিনেপ্রেমী উৎসাহীদের আজ মন খারাপ। গত ৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এক সপ্তাহব্যাপী ৩১-তম...

হাসিনার শাস্তির তারিখ ঘোষণার আগেই ‘উত্তপ্ত’ ঢাকা! লকডাউন ঘোষণা আওয়ামী লিগের

দোষী ধরে নিয়েই মামলা। সেই মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি যেন অবধারিত। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাজা ঘোষণা করা হবে...

নভেম্বরের মাঝেই চাদর-মোড়া ঠাণ্ডা! পারদ আরও নামার ইঙ্গিত

নভেম্বরের শুরুতেই সোয়েটার চাদর বের করতে হচ্ছে আলমারি-ট্রাঙ্ক থেকে। দক্ষিণের জেলাগুলিতে সকালের তাপমাত্রা (temperature) ১৭তে নামছে যেমন, তেমন...
Exit mobile version