Thursday, August 28, 2025

একজন রাজনীতিবিদ স্থায়ী লকডাউনে রয়েছেন, অথচ কারুর কিছু এসে যাচ্ছে না, এ বড় কঠিন বিষয়।

ফলে যে কোনোভাবে গুরুত্ব বোঝানোর মরিয়া চেষ্টা ছাড়া উপায় কী!!

ফলে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের শিবিরসূত্রে ভাসানো খবর, বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে তাঁকে ভার্চুয়ালি থাকতে বলা হয়েছে।
আবার টিকা সংযোগ, কিন্তু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন না তিনি যোগ দিন, কারণ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নাকি বৈশাখীর কর্মস্থলের জটিলতা কাটাতে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

তাহলে দাঁড়ালো কী?
কিছুই না।
যা ছিল তাই।
অরবিন্দ মেনন এলেই শোভনশিবির এখন প্রায় নরেন্দ্র মোদির পদার্পণ ভেবে ফেলছেন।
বিজেপি এই বড় পদে বসালো বলে!
সামনে ভোট। বিজেপিকে তো কিছু দিতেই হবে।
কিন্তু পদ্মাসনে বসতে গিয়ে শবাসনে থাকার পর্ব শেষ কবে?
এদিকে রত্না চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে শোভনকে ধুয়ে দিয়েছেন। স্ত্রীকে আটকাতে শোভনকে এখন মিডিয়ামালিককে ফোন করতে হচ্ছে বলে গুঞ্জন!! রাজ্যস্তরের নেতা আর কাকে বলে!!!!

এদিকে তৃণমূলে ফেরার পথে কড়া শর্ত, আগে দলে ফেরো। তারপর কথা।

বিজেপি বলছে, শোভন আসুন, সঙ্গে বৈশাখী দলের যত্রতত্র যেতে পারবেন না। তাঁর কাজ আলাদা নির্দিষ্ট থাকবে।

সূত্র বলছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে একাধিক পদ পেয়েছিলেন শোভন। কিন্তু তার পিছনে নিজের পারফরমেন্স ছিল না আজ প্রমাণিত। যে গুরুত্বহীনতার রসিকতায় মমতা ধাক্কা মেরে তৎকালীন মেয়রকে জলে ফেলে দিয়েছেন, আজও শোভন অথৈ জলেই। কে কথা বলল আর কে ডাকল, তা প্রমাণ করতে মরিয়া চেষ্টা।

বিজেপি এখন বড় পদ দিতেই পারে। কারণ তাদের দরকার যেকোনো ধরণের পরিচিত নামকে মঞ্চে রাখা। শোভন মিডিয়ায় এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন,” কিছু আলোচনা বাকি আছে।”

কত বড় হাস্যকর!
আলোচনা ছাড়াই দলবদল!
যে দল ছাড়ছেন, সেখানেও আলোচনা বাকি।
যে দলে নাম লেখালেন, সেখানেও আলোচনা বাকি।
সার্কাসের নির্দিষ্ট পদ ছাড়া এত হাসির জোগান পাওয়া মুশকিল। কই, বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত তো এমন বিচিত্র ঝুলন্ত অবস্থায় নেই।

আসলে শোভন কী করবেন আর শোভন কোন্ দিকে যাবেন, এবিষয়ে শোভনশিবির ছাড়া আর কারুর কোনো আগ্রহ নেই।
তৃণমূলের অবস্থান: পুরনো মুখ। ফিরলে ভালো। কিন্তু শর্তের বাড়াবাড়ি নয়।
বিজেপির অবস্থান: ভোটের মুখে ললিলপ দিয়ে রেখে দেওয়াই ভালো। তারপর দেখা যাবে।

এই ধারাবাহিক কুনাট্যে শোভনরা শুধু ” যেতে পারি কিন্তু কেন যাব” আউড়ে চলেছেন।
বিজেপির মঞ্চেই একটু নড়াচড়া নাকি তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন, এই সিদ্ধান্ত নিতেই তথাকথিত রাজ্য নেতার দমবন্ধ অবস্থা।

আরও পড়ুন – শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ করা হচ্ছে, জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে আপত্তি শিক্ষামন্ত্রীর

 

Related articles

এনএইচএম কর্মীদের বড় উপহার, উৎসবের মুখে বোনাস ঘোষণা রাজ্যের 

উৎসবের দোরগোড়ায় জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের কাজে নিযুক্ত রাজ্যের স্বেচ্ছাসেবক ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।...

হাসিনার প্রত্যাবর্তনে ভয় পাচ্ছে বিএনপি! নির্বাচন ভণ্ডুলের আশঙ্কা খালেদা জিয়ার দলের

বাংলাদেশ(Bangladesh) জুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা অব্যাহত। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনা করছে। চাপের মুখে পড়ে আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে...

রেস্তোরাঁয় বিল মেটাতে না পেরে বাসন ধুয়েছিলেন! ঘরভাড়া মেটাতে হিমশিম খেতেন আশিস

বলিউড (Bollywood) অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী (Ashish Vidyarthi)। নিজের ক্যারিয়ারের শুরুতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও আর্থিক সমস্যার...

দু’দিনেই তিন হাজার আবেদন! পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে বিপুল সাড়া

রাজ্যে ফিরেছেন কর্মসংস্থানহীন বহু শ্রমিক। তাঁদের আর্থিক সুরাহার লক্ষ্যে নবান্নের উদ্যোগে চালু হয়েছে ‘শ্রমশ্রী’ অ্যাপ। আর যাত্রা শুরুর...
Exit mobile version