মনুয়া-‌কাণ্ডের ছায়া এবার মথুরাপুরে, স্বামীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার স্ত্রী ও প্রেমিক

মনুয়া-‌কাণ্ডের ছায়া এবার মথুরাপুরে। রবিবার মথুরাপুরের রাধাকান্তপুর গায়েন পাড়ায় সুব্রত গায়েনের (৩৯) মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ জানিয়ে থানায় এফআইআর করা হয়। সেই এফআইআরের ভিত্তিতেই গ্রেফতার হল সুব্রতর স্ত্রী মীণা গায়েন ও প্রেমিক বিমল গায়েন।জানা গিয়েছে, মীণার সঙ্গে বিমলের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। প্রতিবাদ করেছিলেন সুব্রত। তাই পথের কাঁটা সুব্রতকে সরাতে মীণা ও বিমল দুজনে পরিকল্পনা করে। ধৃতদের সোমবার ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে ঘটনার পুর্ননির্মাণ করতে পারে পুলিশ। এই খুনে অন্য কেউ জড়িত কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রবিবার কাকভোরে বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে সুব্রতর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের জেরে বেশ কয়েক বছর ধরে টানাপোড়েন চলছিল সংসারে। রাতেই দু’‌জনকে আটক করে থানায় আনে পুলিশ। মুখেমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়। জেরায় একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। রাতেই দু’‌জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সুব্রত গায়েনের সঙ্গে গত ১৮ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল পাশের গ্রামের মীণা গায়েনের।
সুব্রত পেশায় একজন দিনমজুর ছিলেন। এর মধ্যে মীণার সঙ্গে গ্রামেরই এক যুবকের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যা নিয়ে প্রায়ই পারিবারিক বিবাদ চলত দুজনের মধ্যে। একাধিকবার সালিশি সভাও করে গ্রামের লোকজন। বেশ কিছুদিন আগে সুব্রত তার স্ত্রীকে পাড়ার ওই যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। এরপর থেকে শুরু হয় টানাপোড়েন। ইদানীং বাপের বাড়িতে বেশি থাকতেন স্ত্রী। শনিবার দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন সুব্রত। রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়।

Previous articleদ্বিতীয় দিনেও ছাড়া পেলেন রিয়া, কাল ফের জেরা করবে এনসিবি
Next articleবিএসএনএলের পর এসবিআই, স্বেচ্ছাবসরের খসড়া তৈরি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের