এবার স্বেচ্ছাবসরের পথে এগোচ্ছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এ বছরের শুরুতে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএলের স্বেচ্ছাবসরের দিকে এগিয়েছিল। দুটি ক্ষেত্রেই একই লক্ষ্য। খরচ কমানো।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, যেসব কর্মী-অফিসারেরা ২৫ বছরের বেশি কাজ করেছেন অথবা যাঁদের বয়স ৫৫ বছরের বেশি, শর্তসাপেক্ষে তাঁদের ভিআরএস দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে সেই সংখ্যা দাঁড়াবে ৩০,১৯০- তে। যাঁর যত বছর চাকরি আছে, তিনি এক্স-গ্রাশিয়া হিসেবে তত দিনের ৫০ শতাংশ বেতন পাবেন। তবে মোট অঙ্ক ভিআরএসের সময়ের বেতনের ১৮ মাসের বেশি হবে না। স্টেট ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, কর্মী-অফিসারদের এক তৃতীয়াংশ ভিআরএস নিলে প্রায় ১৬৬৩ কোটি টাকা বাঁচানো যাবে।
জানা গিয়েছে, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে প্রায় ৩০,০০০ কর্মীকে স্বেচ্ছাবসর দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকারি এই ব্যাঙ্ক। এই প্রকল্পের ফর্সা ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষা ব্যাঙ্কের পরিচালন পর্ষদের অনুমোদনের।
যদিও কর্মী সংকোচনের পদক্ষেপ স্টেট ব্যাংকে এই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৭ সালে স্টেট ব্যাঙ্ক তাদের পাঁচটি শাখা কর্মীদের স্বেচ্ছাবসর দিয়েছিল। তার আগে ২০০১ সালে এই পথ অবলম্বন করে স্টেট ব্যাঙ্ক। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এহেন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ কর্মী সংগঠনগুলি। মহামারি পরিস্থিতিতে অত্যন্ত কঠিন অবস্থায় রয়েছেন সাধারণ মানুষ। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে মানুষের জীবন। কর্মী ছাঁটাই করছে একের পর এক সংস্থা। কেন্দ্র সরকারের একাধিক ক্ষেত্রে নিয়োগ বন্ধ রাখা হয়েছে। এই অবস্থায় লোক কমানোর পরিকল্পনার তীব্র প্রতিবাদ করছে একাধিক কর্মী।
গত বছর এই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে কর্মী সংখ্যা ছিল ২.৫৭ লক্ষ।চলতি বছরের মার্চ মাসে সেই সংখ্যা বেশ খানিকটা কমে যায়। ২.৪৯ লক্ষ কর্মী সংখ্যা হয় মার্চের শেষে। ব্যাঙ্ক কর্মী সংগঠন ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব ব্যাঙ্ক ওয়ার্কার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট অশ্বনি রানার এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছেন। তিনি বলেন, ” মহামারির দাপট চলছে বিশ্বজুড়ে। রুজি-রোজগার নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে সাধারণ মানুষের। তার উপরে স্টেট ব্যাংক কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত স্বাভাবিক ভাবেই কর্মী বিরোধী মনোভাবের পরিচয় দিচ্ছে।”
আরও পড়ুন : কঙ্গনাকে সরকারি নিরাপত্তা দিয়ে শিবসেনাকে ‘উচিত শিক্ষা’ দিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার