নতুন কোম্পানিতে ইস্টবেঙ্গলের নামই রাখেনি শ্রী সিমেন্ট। নাম হল শ্রী সিমেন্ট ফাউণ্ডেশন। এই ঝামেলা কাটাতে মঙ্গলবার বৈঠকে বসছেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তার আগে আরেক কাণ্ড। নতুন কোম্পানির ঠিকানায় ইস্টবেঙ্গলের বাংলার অস্তিত্ব সাফ করে দিয়েছে তারা। ঠিকানা রাজস্থানের। কোম্পানির নথিভুক্তির নথিতে সব দেখা যাচ্ছে। এ নিয়ে ইস্টবেঙ্গল চূড়ান্ত বেইজ্জত। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে লাইসেন্সিং আটকে। নতুন নামে লাইসেন্স নেই। তারিখ পার। আবার মুখ্যমন্ত্রীকে ধরে পার পাওয়ার চেষ্টা হবে। এর সঙ্গে যোগ হল কোম্পানির নাম ও ঠিকানা। এতে সমর্থকদের আবেগের ষষ্ঠীপুজো হয়ে যাবে। এখন মুখ বাঁচাতে সরকারকে দিয়ে শ্রী সিমেন্টকে আবার সব বদলের কথা বলাতে হবে। দেবব্রত সরকার তৎপর। কোম্পানির ডিরেক্টর নিয়েও জলঘোলা শুরু। শ্রী সিমেন্ট চায় বড় পদাধিকারীরা আসুক। এদিকে ৮৫%-এর সঙ্গে ফুটবল, ক্রিকেট সব অধিকার নিয়েছে শ্রী সিমেন্ট। ক্লাব বড়জোর রবীন্দ্রজয়ন্তী করতে পারবে। এখন ক্রীড়ামন্ত্রী মঙ্গলবারের বৈঠকে কী করেন দেখতে হবে। তাছাড়া এআইএফএফ এবং এএফসি কর্তারা কে কতটা নিয়ম ভেঙে কোনো ক্লাবকে সুবিধে পাইয়ে দিচ্ছেন, সে দিকেও নজর থাকছে। বিষয়টি নিয়ে বড়সড় আইনি জলঘোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে একাধিক মহল। কীসের বিনিময়ে এবং কেন লাইসেন্সিং নিয়ম ভাঙা হবে, আইনজীবীদের নামানো হয়েছে পর্যবেক্ষণে। অভিযোগ, ফুটবল হাউসের সচিবালয়ের একাংশ অনৈতিক কাজকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। তবে একটি সূত্র এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলছে। সচিব কুশল দাস কোনো ক্লাবকে বাড়তি সুবিধে পাইয়ে দেন কিনা, কৌতূহলী চোখ বাড়ছে। ইস্টবেঙ্গল সূত্রে খবর, তাঁরা আবার মুখ্যমন্ত্রীর সম্মান জড়িয়ে দেওয়ার কৌশল নিচ্ছেন। যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের সবরকম প্রভাব খাটাতে বাধ্য হন। বস্তুত তাঁকে জড়িয়ে তাঁর মাধ্যমে নিজেদের মুখ বাঁচাতে নেমেছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। মঙ্গলবারের বৈঠকে শ্রী সিমেন্টকে বলা হবে মালিকা না পেলেও অন্তত এই বছরটা মুখ্যমন্ত্রীর মান রাখতে ইস্টবেঙ্গলকে স্পনসর করে দিতে। দেখা যাক তাঁরা কী বলেন।
আরও পড়ুন : কোম্পানিতে নামই নেই ইস্টবেঙ্গলের! জরুরি বৈঠক ডাকলেন ক্রীড়ামন্ত্রী