চিতায় দেহ, মুখাগ্নির আগে সন্তান জানলেন মৃত তাঁর বাবাই নন

চিতায় তোলা হয়েছে দেহ। শেষবার বাবাকে দেখার জন্য কাকুতি সন্তানের। করোনার মৃত্যু। ঢাকা দেহ। মুখ খোলার অনুমতি নেই। কিন্তু কান্নায় ভেঙে পড়া সন্তানের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত সরানো হল মৃতদেহের মুখের কাপড়।

আর তারপর যা হল, তা যেন সিনেমা। মৃত তাঁর বাবা নন। চিতায় শায়িত বছর পঞ্চাশের প্রৌঢ়ের দেহ। যাকে চেনেই না পরিবার। দেহ বদলের ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মেরঠে। অচেনা ব্যক্তির দেহ দেখে তত্ক্ষণাত্ নামিয়ে ফেলা হয় চিতা থেকে। পরিবারের লোকজন ছুটে যান লালা লাজপত রায় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

আরও পড়ুন : পরিযায়ী পরিবারের কচিকাঁচাদের পড়িয়ে রোল মডেল পুলিশ-স্যার

খোঁজখবর করতে গিয়ে দেখা যায় গড়মিল হয়েছে সেখানেই। দেহ বদল হয়ে গিয়েছে। কোভিডে মৃত দুই রোগীর দেহ বদলে গিয়েছে। একজনের বয়স ছিল ৮৪। অন্য জনের ৫০। হাসপাতালের সিস্টার ইন চার্জের ভুলে ঘটনাটি ঘটায় তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়।

এদিকে, হাসপাতালে গিয়ে পরিবারটি বৃদ্ধের দেহ সত্কারের জন্য খোঁজ করলে জানতে পারেন তা নিয়ে গিয়েছে অন্য পরিবার। সেই পরিবারে যখন ফোন করা হয়, জানা যায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। করোনা রুগি বলে দেহ মোড়া থাকায় ভুল ধরতে পারেননি তাঁরাও। দেহ বদলের ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে দুই পরিবারই।

আরও পড়ুন : দুর্গাপুজো নিয়ে ভুয়ো পোস্ট কাণ্ডে ধৃত ২

এত বড় ভুল কীভাবে হল জানার জন্য অতিরিক্ত জেলা শাসক ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি বসে। তাতেই জানা যায়, নির্দিষ্ট ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা সিস্টার ইন চার্জ ডিউটির এক ঘণ্টা আগে চলে গিয়েছিলেন। তাঁর কাজ অন্যজন করতে গিয়ে ভুল করে ফেলে।সিস্টার ইন চার্জের কাজে গাফিলতির জেরে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়।

আরও পড়ুন : জুম কলে অনলাইন ক্লাস, পড়ুয়াদের সামনেই মৃত্যু শিক্ষিকার

মহামারি হয়ে ওঠা করোনাতে মৃত্যু হচ্ছে অসংখ্য মানুষের। প্রচণ্ড সংক্রামক এই ভাইরাস। তাই মৃতদেহ থেকে কোনওভাবেই যাতে সংক্রমণ না ছড়ায় সে কারণে দেহ ভালোভাবে মুড়ে দেওয়া হয়। দেহের কাছে আসার বা ছোঁয়ার অনুমতিও মেলে  না পরিবার পরিজনদের। সে কারণেই এই ধরনের বিভ্রান্তি বলে মনে করা হচ্ছে। তবে হাসাপতাল সূত্রে জানা গিয়েছে এমন ভুল যাতে না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা হবে।

Previous articleসংঘাতের মধ্যেই মুম্বই পৌঁছলেন কঙ্গনা, বিক্ষোভ শিবসেনার
Next articleএখনও স্মৃতিতে স্পষ্ট একরত্তি রিয়া, মাদকযোগের অভিযোগ অবিশ্বাস্য বলছে তুনতুড়ি