জুম কলে অনলাইন ক্লাস, পড়ুয়াদের সামনেই মৃত্যু শিক্ষিকার

জুম কলে ক্লাস নিচ্ছিলেন শিক্ষিকা। হঠাত্ করেই শরীর খারপ হতে শুরু করে তাঁর। মুখে কিছু বলতে পারছিলেন না। হাঁফাচ্ছিলেন। ম্যাডাম যে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বুঝেই ছাত্রছাত্রীরা তাঁর বাড়ির ঠিকানা চান সাহায্যের জন্য। কিন্তু সেটাও বলতে পারেননি তিনি। তাঁর আগেই ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে।

আর্জেন্টিনার শিক্ষিকার মর্মান্তিক মৃত্যু এই মুহূর্তে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।অসুস্থ হওয়া থেকে মৃত্যু পুরো ঘটনাই রেকর্ড হয়ে রয়েছে জুম কলে। আর শিক্ষিকা চোখের সামনে মারা যেতে দেখেছেন ক্লাসের পড়ুয়ারা। তাদের আক্ষেপ একটাই, কিছুই করতে পারলেন না। কারণ, শিক্ষিকা মারা যাওয়ার আগে বাড়ির ঠিকানাও বলতে পারেননি। ছাত্ররা জিজ্ঞেস করলে বলেছিলেন ‘আমি পারছি না’।

আরও পড়ুন : মধ্যযুগীয় কায়দায় আক্রমণ করতে বর্শা হাতে এগোতে থাকে লাল ফৌজ! সামনে এল বিস্ফোরক ছবি

৪৬ বছরের শিক্ষিকার নাম পাওলা ডে সিমোনে।ইউএডিই আর্জেন্টিনার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষিকা কিছুদিন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেরেও উঠেছিলেন। তবে খুবই দুর্বল ছিলেন তিনি। জুম কলে ক্লাসের শুরু থেকেই পড়ুয়ারা বুঝতে পারছিলেন পাওলা ম্যাডামের কিছু অসুবিধে হচ্ছে। তিনি কাশছিলেন। হাঁফাচ্ছিলেন। ঠিক করে কথা বলতে পারছিলেন না। কিন্তু তাই বলে, এভাবে তিনি মারা যেতে পারেন মানতে পারছেন না ছাত্রছাত্রীরা।

শিক্ষিকা মারা যাওয়ার আগের দিনও বলেছিলেন, করোনা উপসর্গ রয়েছে। নিউমোনিয়ায় ভুগছেন তিনি। একমাস হয়ে গেল পুরোপুরি সারছেন না।অ্যানা নামে পাওলোর ছাত্রী ঘটনাটি দেখেছেন। জুম কলের ক্লাসে তিনি ও তাঁর সহপাঠীরা ছিলেন। সেই সময় ম্যাডাম তাঁদের জানিয়েছিলেন তিনি নিউমোনিয়ায় ভীষণ কষ্ট পাচ্ছেন। কথা বলার সময় ম্যাডাম হাঁফিয়ে উঠতেন।

আরও পড়ুন : বিধানসভার করোনা টেস্টে পজিটিভ সুজনের ড্রাইভার, হোম কোয়ারেন্টাইনে সিপিএম নেতা

তবে চোখের সামনে ম্যাডামের মৃত্যু কিশোর মনে গভীর প্রভাব ফেলেছে।পড়ুয়ারা মনমরা। অনকেই আবার খুব ভয় পয়েছেন। জানা গিয়েছে, শিক্ষিকা নিজে ঠিকানা বলতে পারেননি। পডুয়ারাই অন্যভাবে ঠিকানা জোগাড় করে। খবর দেওয়া হয় অ্যাম্বুল্যান্সকে। ডাক্তার যখন শিক্ষিকার ঘরে যান তখন তিনি মৃত।

জানা গিয়েছে, শিক্ষিকা পাওলোর স্বামীও একজন ডাক্তার। করোনা মহামারির জেরে তিনি কাজে খুব ব্যস্ত। স্ত্রীর স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে পারনেনি। ওই শিক্ষিকার একটি মেয়েও রয়েছে।

করোনা এসে জীবন ওলটপালট করে দিয়েছে এক ধাক্কায়। অনলাইনে ক্লাস যেমন জনপ্রিয় করেছে, তেমনই অনলাইনে মৃত্যুও যে রেকর্ড হতে পারে সেটা দেখিয়েছে।সকলের এক কথা, আর কি দেখার বাকি! এবার করোনা নির্মূল হোক।

Previous articleপুজো দিয়ে মুম্বইয়ের পথে কঙ্গনা, তার আগেই অফিসে শুরু ভাঙচুর
Next articleনবম-দশম শ্রেণীর পর পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত টেলিফোনে ক্লাসের ভাবনা রাজ্যের