এবার পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের টেলিফোনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল স্কুল শিক্ষা দফতর। এর আগে নবম দশম শ্রেণীর জন্য টেলিফোনে ক্লাস নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্য সরকার। স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহ থেকেই এই পরিকল্পনা কার্যকর হবে।
জুলাই মাসে স্কুল শিক্ষা দফতর সিদ্ধান্ত নেয় মহামারি পরিস্থিতিতে টেলিফোনে পড়ুয়াদের ক্লাস নেওয়া হবে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টেলিফোনে ক্লাস নেওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় শিক্ষকদের। অনলাইন ক্লাসের বিকল্প হিসেবে নতুন পদ্ধতিতে ক্লাসের ভাবনা স্কুল শিক্ষা দফতরের। নবম দশম শ্রেণীর টেলিফোন ক্লাসে উপকৃত হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা। তাই এবার পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের জন্য টেলিফোনের ক্লাসের সূচনা করতে চলেছে রাজ্য। জানা গিয়েছে, ৩ হাজারেরও বেশি শিক্ষক অংশগ্রহণ করবেন এই ক্লাসে।
স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, প্রতিদিন গড়ে হাজারের বেশি ছাত্র-ছাত্রী টেলিফোনে ক্লাস করছে। প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নবম ও দশম শ্রেণীর ক্লাস হচ্ছে। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর নতুন টেলিফোন ক্লাসের জন্য বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর চালু করবে স্কুল শিক্ষা দফতর। জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় সামেটিভপর্ব পর্যন্ত যে যে অংশগুলি স্কুলগুলিতে পড়ানোর কথা সেই সেই অংশগুলির ওপরেই টেলিফোনে ক্লাস নেওয়া হবে।
কীভাবে হবে টেলিফোনের মাধ্যমে পঠন-পাঠন? স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, শুধুমাত্র কোন একটি বিষয়ের ক্ষেত্রে প্রশ্ন নিয়ে পড়ানো নয়। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা কোনও একটি কোথায় সম্পর্কে বুঝতে চাইলে তা বুঝিয়ে দেবেন শিক্ষকরা। ঠিক যে পদ্ধতিতে ক্লাসে পড়ানো হয়, ঠিক সেই ভাবেই অধ্যায় সম্পর্কে টেলিফোনে বুঝিয়ে দেবেন শিক্ষকরা।
এদিকে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, শর্তসাপেক্ষে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল খোলা যাবে। তবে এ বিষয়ে রাজ্যের কী সিদ্ধান্ত তা এখনও জানা যায়নি। সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে স্কুল বন্ধ থাকবে বলে আগেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে প্রায় ছমাস স্কুল বন্ধ থাকায় পিছিয়ে পড়ছে পড়ুয়ারা। আর্থিক অসচ্ছলতা সহ প্রান্তিক অঞ্চলে ইন্টারনেট পরিষেবা ভালো না হওয়ায় সমস্যায় পড়ছে পড়ুয়ারা। এই আবহে টেলিফোনের ক্লাসকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে রাজ্য।
আরও পড়ুন- কীভাবে পাবেন বিবেকানন্দ স্কলারশিপ?