অগ্নিমূল্যের বাজারে ন্যায্যমূল্যে সবজি দেবে যাদবপুরের শ্রমজীবী বাজার

শ্রমজীবী ক্যান্টিনের পর এবার শ্রমজীবী বাজার। যাদবপুরে সিপিএম তথা বামেদের অভিনব উদ্যোগ। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে “দীপাঞ্জন মিত্র শ্রমজীবি বাজার” চালু হচ্ছে বাঘাযতীন এইচ-ব্লকে। বর্তমান অগ্নিমূল্যের বাজারে যেখানে আপনি একেবারে ন্যায্যমূল্য সবজি পাবেন। এমনটাই দাবি বামেদের।

যাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত এই শ্রমজীবী বাজার, যাদবপুরের সেই সিপিএম নেতা সুদীপ সেনগুপ্ত বলেন, “করোনা মোকাবিলায় লকডাউন এবং আমফান বিধ্বস্ত বাংলায় অনেক মানুষ কাজ হারিয়েছেন। অনেক মানুষের বেতন কমেছে। ছোটখাটো ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা চলছে। প্রবল এক আর্থিক অনটনের সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য তথা শহরজুড়ে। সেই বিষয়টি বিবেচনা করেই আমরা যাদবপুরের শ্রমজীবী ক্যান্টিন বা রান্নাঘর চালু করেছিলাম। এবার অগ্নিমূল্যের বাজারে মানুষ সবজি কিনতে গেলে হাতে ছ্যাকা লাগছে। মধ্যবিত্তের হেঁসেলে আগুন লাগছে। আর তাই আমরা বামপন্থীরা মানুষের সাথে মানুষের পাশে আছি। এবার শ্রমজীবী ক্যান্টিনের মতোই শ্রমজীবী বাজার চালু করছি আমরা। যেখানে মানুষ সস্তায় সবজি পাবেন।”

সুদীপবাবু আরও জানিয়েছেন, আপাতত সপ্তাহে তিনদিন এই বাজার খোলা থাকবে বাঘাযতীন অঞ্চলে। তারপর সপ্তাহে প্রতিদিন এই বাজার চালু করার পরিকল্পনা আছে তাঁদের। এর জন্য বাঘাযতীন এইচ-ব্লকে একটি স্টল নেওয়া হয়েছে। সেখানে দলের ছাত্র-যুবরা শ্রমজীবী ক্যান্টিনের মতই শ্রমজীবী বাজারে স্বেচ্ছাশ্রম দেবেন। তবে সুদীপবাবু একটা দীর্ঘকালীন পরিকল্পনা কথা শুনিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, এই শ্রমজীবী বাজারের মধ্যে দিয়ে যেমন সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের আয়ত্তের মধ্যে সবজি পাওয়া যাবে, ঠিক একইভাবে কিছু বেকারের কর্মসংস্থান হবে আগামীদিনে।

মূলত, কলকাতার পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলি জেলা থেকে চাষিরা বামেদের শ্রমজীবী বাজারে সবজির সরবরাহ করবেন। চাষীদের থেকেও ন্যায্যমূল্যে সেই সবজি কিনবেন তাঁরা এবং ক্রেতাদের কাছে ন্যায্য মূল্যে তা বিক্রি করা হবে। শুধু খুচরো ক্রেতারা নয়, যে সকল গরীব সবজি ব্যবসায়ী পাড়ায় ঘুরে ঘুরে বা রাস্তায় বসে সবজি বিক্রি করেন, তাঁদেরকেও পাইকারি মূল্যে বামেরা এই শ্রমজীবী বাজার থেকে সবজি বিক্রি করবে বলেও জানিয়েছেন সুদীপ সেনগুপ্ত।

Previous articleমসজিদে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩১
Next articleআইপিএলের জন্য দুবাইয়ে পাড়ি জমালেন সৌরভ