পাশবিক! স্ত্রীকে বলি দিয়ে দেবতার চরণে প্রাণামি!

আমরা নাকি এগোচ্ছি। আমরা একবিংশ শতকের লোক। কিন্তু শিক্ষার অভাব আর কুসংস্কার মানুষকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে তার উদাহরণ মধ্যপ্রদেশের বসাউদা গ্রাম।

অখ্যাত এই গ্রামে কী এমন হলো যে একেবারে শিরোনামে চলে এলো? নৃশংস, পাশবিক এবং নারকীয় বললেও বোধহয় কম বলা হয়। শুধু কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে স্ত্রীর গলা কাটল এক ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার সাক্ষী তার দুই পুত্রও। যদিও ‘জানোয়ার’ এই লোকটি পুলিশের জালে ধরা পড়েছে।

আরও পড়ুন- প্রণব-স্মরণে বাবুলের মিউজিক ভিডিও

বছর ৫০-এর ওই ব্যক্তির নাম ব্রজেশ কেওয়াত। আপাদমস্তক কুসংস্কারগ্রস্ত। বছর বছর সে ছাগল বলি দিত। এবার সে বলতে শুরু করেছিল ভগবান মানুষের বলি চাইছেন। কিন্তু সেটা যে বাস্তবতই হবে তা ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেনি তার দুই ছেলে মনোজ ও সুরেন্দ্র। ঘটনার দিন ব্রজেশ গভীর রাতে উঠে পড়ে। এরপর দড়ি আর কাপড় দিয়ে স্ত্রীর হাত-পা-মুখ বাঁধে। এবার বাড়র কুলদেবতার সামনে তাকে এনে ধড় থেকে মুণ্ডু আলাদা করে। বাড়িতে এই নৃশংস কাণ্ডে ঘুম ভেঙে যায় দুই ছেলে মনোজ আর সুরেন্দ্রর। তাদের চোখের সামনেই মাকে কোতল করে বাবা। আর ছেলেদের খুনের হুমকি দিয়ে চুপ করে থাকে। কিন্তু এক ছেলে পালিয়ে প্রতিবেশীদের খবর দেয়। সেখান থেকে যায় পুলিশে খবর।

পালাতে পারেনি ব্রজেশ। রক্তাক্ত এলাকায় দেবতার পায়ের কাছে কাটা মুণ্ডু উদ্ধার হয়। পালাতে পারেনি। ঘটনাস্থলেই ধরা পড়ে। স্ত্রী খুনের কথা কবুল করে। কিন্তু কোন সংস্কারে বশবর্তী হয়ে সে এই নারকীয় ঘটনা ঘটায়, তার অনুসন্ধান চালিয়ে জানা যায়, আসলে আরও পুণ্যার্জন করতে সে নাকি দেবতার আদেশ পেয়েছিল। নরকবাস ঘোচাতে নিজের কাছের মানুষের বলি চেয়েছিলেন নাকি দেবতা! তাই সন্তান নয় স্ত্রীকে বেছে নিয়েছিল ব্রজেশ। তার ফাঁসির দাবিতে জনমত বাড়ছে।

আরও পড়ুন- টেসলা-মাস্ক-বাফেটকে টপকে বিশ্বের পঞ্চম ধনী শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি

Previous articleটেসলা-মাস্ক-বাফেটকে টপকে বিশ্বের পঞ্চম ধনী শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি
Next articleBREAKING: এবার করোনা আক্রান্ত কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা