বিতর্ক নিয়ে ৮৮ লোকসভা কেন্দ্রে শুক্রবার দ্বিতীয় দফার ভোট

প্রস্তুতিপর্ব শেষ। প্রচারও শেষ। শুক্রবার লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ। ভোট হবে গোটা দেশের মোট ৮৮টি লোকসভা কেন্দ্রে। তবে কথা ছিল, মোট ১৩ রাজ্যে ৮৯টি আসনে নির্বাচনের। কিন্তু ৯ এপ্রিল বহুজন সমাজ পার্টির প্রার্থী অশোক ভালভির মৃত্যু হওয়ায় নির্বাচন কমিশন মধ্যপ্রদেশের বেতুল আসনের নির্বাচন পিছিয়ে দিয়েছে। সেখানে ভোট হবে তৃতীয় পর্বে ৭ মে।

লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট হতে চলেছে তুমুল বিতর্ককে সঙ্গী করে। ক্ষমতায় এলে কংগ্রেস দেশের সম্পদ মুসলমানদের মধ্যে বাঁটোয়ারা করে দেবে জানিয়ে সেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই। কদিন ধরেই ওই বিতর্ক ঘিরে ভোটের রাজনীতি সরগরম। এই বিতর্ক দ্বিতীয় দফার ভোটে হিন্দুত্ববাদীদের বেশি করে ভোটদানে উৎসাহিত করে দেশব্যাপী ধর্মীয় মেরুকরণ ঘটায় কি না, সেটাই হতে চলেছে প্রধান দ্রষ্টব্য।

প্রথম দফার ভোটের শতাংশের হার বিজেপিকে চিন্তায় রেখেছে। সেই চিন্তা দূর করাই ওই ‘অনাবশ্যক’ বিতর্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্য বলে বিরোধীদের অভিযোগ। শুক্রবার ভোট হবে ৮৯টি কেন্দ্রে, যেগুলোর মধ্যে ২০১৯ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ পেয়েছিল ৫৬টি, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ ২৪টি।

দ্বিতীয় দফার ভোট হবে কেরালার ২০ আসনে, যেখানে লড়াই প্রধানত বামপন্থীদের সঙ্গে কংগ্রেসের। বিজেপি দক্ষিণের এই রাজ্যে তৃতীয় শক্তি হিসেবে মাথাচাড়া দিয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো আসন জিততে পারেনি। কংগ্রেস ও বামপন্থীরা রাজ্যে পরস্পরের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও সর্বভারতীয় স্তরে দুজনই ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিক ও বিজেপিবিরোধী। অতএব কেরালায় যারাই জিতুক, তা ‘ইন্ডিয়া’ জোটের পাওনার ঘরই ভারী করবে।

কেরালার লাগোয়া কর্ণাটকের ১৪ আসনেও ভোট হবে শুক্রবার। রাজ্যের মোট আসন ২৮। তার মধ্যে আগের লোকসভা ভোটে বিজেপি জিতেছিল ২৫টি। বিজেপির হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে কংগ্রেস ওই রাজ্য শাসন করছে গত বছর থেকে। মরিয়া বিজেপি হাত মিলিয়েছে রাজ্যের তৃতীয় শক্তি জেডিএসের সঙ্গে। আসন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে গেলে বিজেপির কাছে কর্ণাটকে ভালো ফল করা জরুরি। সেই লক্ষ্যমাত্রা প্রধানমন্ত্রীই ঠিক করে দিয়েছেন। বিজেপি ৩৭০, এনডিএ ৪০০ পার।

শুক্রবারের ভোটের পর কেরালা, রাজস্থান ও ত্রিপুরার ভোট শেষ হয়ে যাবে। প্রথম দফায় তামিলনাড়ু (৩৯), উত্তরাখন্ড (৫), অরুণাচল প্রদেশ (২), মেঘালয় (২), মিজোরাম (১), নাগাল্যান্ড (১), পদুচেরী (১), সিকিম (১) ও লাক্ষা দ্বীপের (১) সব ভোট সাঙ্গ হয়েছিল। কেরালার ওয়েনাড কেন্দ্র থেকে এবারও ভোটে লড়ছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার স্ত্রী অ্যানি রাজা ও বিজেপি কে সুন্দরম। ওই রাজ্যেরই তিরুবনন্তপুরমের প্রার্থী কংগ্রেসের শশী থারুর। তাঁর চ্যালেঞ্জার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। এখান থেকে গত তিনটি নির্বাচনেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন শশী থারুর। উত্তর প্রদেশের মথুরা থেকে এবারও বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী হেমা মালিনী। মীরাটে বিজেপির প্রার্থী অরুণ গোভিল, যিনি দূরদর্শনে প্রচারিত রামায়ণ ধারাবাহিকে রামের ভূমিকায় নেমেছিলেন।

আরও পড়ুন- আইপিএল-এ ভালো খেলেও টি-২০ বিশ্বকাপে জায়গা হবে না এই তরুণ ক্রিকেটারদের : সুত্র

 

Previous articleআইপিএল-এ ভালো খেলেও টি-২০ বিশ্বকাপে জায়গা হবে না এই তরুণ ক্রিকেটারদের : সুত্র
Next articleএসএসকেএমের পর এবার এনআরএস! সফল মস্তিষ্কের জটিল অস্ত্রোপচার