আর নয় সোমনাথ, দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপির নয়া সভাপতি শঙ্কর সিকদার

২০১৯ লোকসভা ভোটে কলকাতার জেলাগুলোতে হয়নি ভালো ফল। যেখানে রাজ্যে ১৮ টি আসন পেয়ে তৃণমূলকে চাপে ফেলেছিল বিজেপি সেখানে কলকাতার ফল অত্যন্ত শোচনীয় কেন হলো, ভাবিয়েছিল দিল্লির গেরুয়া ভোট ম্যানেজার দের। তাই লোকসভা ভোটের পর থেকেই দাবি উঠেছিল কলকাতার জেলা সভাপতিদের দায়িত্বে আনা হোক কোনও বাঙালি মুখ। সেই পথে হেঁটেই কলকাতার দুই জেলায় পরিবর্তন আনা হয়।

উত্তর কলকাতায় দীনেশ পান্ডের জায়গায় নিয়ে আসা হয় দীর্ঘ দিনের কংগ্রেস নেতা শিবাজী সিংহ রায়কে। বছরখানেক আগে এই শিবাজী সিংহ তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। একদা সাধন পান্ডের ঘনিষ্ঠ শিবাজী মাস পাঁচেক আগে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। সেই শিবাজিকেই দেওয়া হয় উত্তর কলকাতার দায়িত্বে।

আরও পড়ুন- নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে আর মসজিদ নির্মাণ নয় : হাসিনা

অন্যদিকে, দক্ষিণ কলকাতার দায়িত্বে ছিলেন মোহন রাও। তাঁর জায়গায় গত জুলাইয়ের শুরুতে নিয়ে আসা হয় সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দক্ষিণ কলকাতার মধ্যে আবার সাংগঠনিক ভাবে দুটি জেলা বিজেপির। সাউথ সুবার্বান ও সাউথ কলকাতা। সাউথ সাবার্বানের দায়িত্বে থাকা সোমনাথকেই দেওয়া হয় দুই জেলার দায়িত্বে।

কিন্তু দায়িত্ব পাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই বড়সড় স্কেন্ডেলে নাম জড়ায় সোমনাথের। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দলেরই এক শিক্ষিকার সঙ্গে সহবাসের অভিযোগ ওঠে বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা জেলা সভাপতি সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তারপর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠালেন সোমনাথবাবু। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে আবার দলের দায়িত্ব নেবেন বলে জানিয়ে ছিলেন তিনি। পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। যেহেতু আমি দলে রয়েছি, তাই এখন পদত্যাগ করছি। যাতে পার্টির বদনাম না হয়।” তখন সোমনাথবাবুর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

যদিও এখনও নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেননি সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আর নয় সোমনাথ। এবার দক্ষিণ কলকাতায় তাঁর পরিবর্তে দায়িত্বে আনা হলো স্বচ্ছভাবমূর্তির শঙ্কর সিকদারকে। যাঁকে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে এই জেলার সভাপতি ঘোষণা করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি প্রয়াত তপন সিকদারের পরিবারের সদস্য।

আরও পড়ুন- ৩ বছরের শিশুকন্যাকে নিয়ে তিনতলার ব্যালকনি থেকে “ঝাঁপ” মহিলার! তারপর?