৫০ বছর আগের অন্ধকার স্মৃতি ফিরবে? বিপদে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট

ঠিক ৫০ বছর আগের কথা। সেবার শুধু ক্রিকেট নয়, সব ধরণের ক্রিকেট থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা নিষিদ্ধ হয়েছিল। মূল ইস্যু ছিল বর্ণবিদ্বেষ। ১৯৭০-১৯৯১। ২১ বছর সব ধরণের খেলা থেকে বহিষ্কৃত হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ফের আর একবার কি সেই পরিস্থিতি ফিরে আসবে প্রোটিওদের দেশে? এবারও অন্য কারণের সঙ্গে রয়েছে বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ। ফলে সম্ভাবনা প্রবল।

কী ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে? দেশের ক্রিকেট বোর্ড ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকাকে সাসপেন্ড বা বাতিল করে দিয়েছে সরকারের ক্রীড়া মন্ত্রকের স্পোর্টস কনফেডারেশন অ্যান্ড অলিম্পিক কমিটি। ফলে ক্রিকেট বোর্ডের অস্তিত্ব আর রইল না। আর এই কারণেই দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট ভবিষ্যৎ প্রশ্ন চিহ্নের সামনে। কারণ আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী ক্রিকেট বোর্ডের কাজে সরকার দখলদারি করতে পারবে না। ফলে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আদৌ দক্ষিণ আফ্রিকা খেলতে পারবে কিনা সেটাই কোটি টাকার প্রশ্ন।

কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হলো?

গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকায় সমস্যা শুরু। মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে সঙ্ঘাত শুরু হয়। à§§. বর্ণবিদ্বেষ, ২. ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক, à§©. দুর্নীতি। ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার সিইও থাবাং মোরকে বরখাস্ত করা দিয়ে সমস্যার শুরু। মোরকে বরখাস্ত করা হয় অনৈতিক কাজের কারণে। এরপর সিইও ক্রিস নেনজানি ও জ্যাক ফল পদত্যাগ করলে সমস্যা আরও বাড়ে। অনৈতিক ও দুর্নীতির কাজ করার কারণে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা সরকারি সাসপেনশনের কবলে পড়ে। কিন্তু আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, কোনও দেশের সরকার, সে দেশের ক্রিকেট বোর্ডের দৈনন্দিন কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। এই একই কারণে কিছুদিনের জন্য জিম্বাবোয়ে ক্রিকেট বোর্ড সাসপেনশনের কবলে পড়ে। এবার যদি সেটাই হয়, তাহলে দ্বিতীয়বারের জন্য ‘ব্যান’-এর কবলে পড়বে প্রোটিওরা।

প্রশ্ন, উঠেছে, তাহলে দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়রা কি আইপিএল খেলতে পারবে? আইসিসি জানাচ্ছে, সে নিয়ে কোনও অসুবিধা নেই। প্রশ্ন উঠতে পারে আন্তর্জাতিক ম্যাচের উপর। তবে বাঁচোয়া কোভিডের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার কোনও আন্তর্জাতিক সিরিজ বা ঘোরায়া ক্রিকেটও নেই। এই সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধান করতে না পারলে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট ফের পিছিয়ে যেতে বাধ্য।

আরও পড়ুন- ৪০০ বছর ধরে হিমায়িত, উদ্ধার চমোইসের ‘বরফ মমি’