লঙ্কার ঝাঁঝের পরে আমের রস: জালিয়াতি চক্রে নাজেহাল রেলওয়ে

প্রতীকী ছবি

লঙ্কার ঝাঁঝের পরে এবার আমের রসে নাজেহাল রেলওয়ে। এটা কোন মালগাড়ির সমস্যা নয়, সমস্যাটা টিকেট জালিয়াতির।রেলের টিকিট জালিয়াতিতে সবজি থেকে ফলের উপস্থিতিতে দিশেহারা অবস্থা ভারতীয় রেলের। ইতিমধ্যে জালিয়াতির অভিযোগে রাজ্য থেকে ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিন বছর আগে গ্রেফতার করা হয় টিকিট জালিয়াতি চক্রের অন্যতম পাণ্ডাকে। তাঁকে জেরা করে জানা যায়, রেড মির্চি নামে একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে চলছে টিকিট জালিয়াতি। এবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে ধৃতদের জেরা করে জানা যায়, রিয়েল ম্যাঙ্গো নামে একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে চলছে টিকিট জালিয়াতি। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন রেহান খান ওরফে শামসের আনসারি, সুবীর বিশ্বাস ওরফে অমিত রায় ওরফে মাটিয়ার খান, শুভেন্দু বিশ্বাস ওরফে ম্যাঙ্গো স্যার, রাহুল রায় ও চন্দ্র গুপ্ত।

আরও পড়ুন- রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ২ লক্ষ ছুঁইছুঁই, মৃত্যু ৪ হাজারের দোরগোড়ায়

এই চক্র সামনে আসায় ঘুম উড়েছে পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব এবং উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের আধিকারিকদের। জেরা করে জানা গিয়েছে, কমপক্ষে ৪০ জন এই চক্র চালাচ্ছে। ১৫০০ জন এজেন্ট আছে। ১৭৬ জনকে তাঁরা টিকিট বিক্রির দায়িত্বে রেখেছে। আপাতত গুজরাট, হায়দরাবাদ ও পশ্চিমবঙ্গে চলছে এই জালিয়াতি চক্র। তবে, সবচেয়ে বেশি করে যেটা ভাবাচ্ছে তা হল কালোবাজারিতে ব্যবহার করা হচ্ছে ডিজিটাল কারেন্সি বা বিট কয়েন।
রিয়েল ম্যাঙ্গো সফটওয়্যার মাধ্যমে আইআরসিটিসি-র ধাঁচে সমান্তরাল সিস্টেম গড়ে তোলা হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপে ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে চক্রটি নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখে যাতে চট করে তাদের ট্র্যাক করা না যায়। চক্রের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকরা। আরপিএফ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত মোট ৯৯৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রায় ৯০ লক্ষ টাকার টিকিট ব্লক করা হয়েছে। তবে এই আমের গন্ধ কতদূর ছড়িয়েছে তা নিয়ে চিন্তিত রেলওয়ে।

আরও পড়ুন- এবার করোনা আক্রান্ত অভিনেতা আফতাব

Previous articleএবার করোনা আক্রান্ত অভিনেতা আফতাব
Next articleকর ফাঁকির অভিযোগ এ আর রহমানের বিরুদ্ধে! মাদ্রাজ হাইকোর্টের নোটিশ গায়ককে