ইরানেও যেন তালিবানি শাসনের ছায়া!

কুস্তিগীর নাভিদ আফকারির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল ইরান সরকার। সব আপত্তি, হুমকিকে উপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত ফাঁসি দেয় ইরান। শনিবার আদেলাবাদ জেলে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় কুস্তিগীর চ্যাম্পিয়নকে।

২০১৮ সালে ইরানের বর্তমান সরকার বিরোধী বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন কুস্তিগীর নাভিদ আফকারি। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনে দেশের সরকার। নাভিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিক্ষোভের সময় হাসান তুর্কমান নামে নিরাপত্তা রক্ষীকে ছুরি দিয়ে খুন করেন তিনি। প্রায় দু বছর ধরে এই মামলার শুনানি হয়। শেষ পর্যন্ত তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয় ইরানের আদালত।

দেশের কিংবদন্তী কুস্তিগীরের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বাতিলের জন্য ইরান সরকারের কাছে আর্জি জানায় বিশ্বের ৮৫ হাজার অ্যাথলিটদের সংগঠন। এমনকী বিচার চলাকালীন আফকারি অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর উপরে নির্যাতন করে জোর করে বয়ান আদায় করা হয়েছে। কিন্তু এই অভিযোগ অস্বীকার করে সরকার। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইরানের সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আফকারি। শুধু তাই নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বাতিলের আর্জি জানান। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার আগেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ক্রীড়াবিদরা। খেলোয়াড়কে ফাঁসি দেওয়ায়, ইরানকে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন ক্রীড়াবিদদের একাংশ। ঘটনার সমালোচনা করেছে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তাদের বক্তব্য, “বিচারের নামে প্রহসন হয়েছে।” ইরান সরকারের বিচার বিভাগের এক মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, “আফকারির আইনি লড়াইয়ের সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আদালতের নির্দেশেই তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।”

আরও পড়ুন-কেন নিজেকে চার্চিল আর রুজভেল্টের সঙ্গে তুলনা করলেন ট্রাম্প?

Previous articleসংসদ অধিবেশনের আগে চেকআপ করতেই ভর্তি হয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, জানাল এইমস
Next articleকরনি সেনার সঙ্গে রাজ্যপালের কাছে যাচ্ছেন কঙ্গনা